Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

তাইল্যান্ডে পিছোতে পারে ভোট

সংবাদ সংস্থা
ব্যাঙ্কক শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৪ ১৫:৩৩
Share: Save:

আসন্ন নির্বাচন পিছোনো যেতে পারে। কিন্তু সে জন্য অবিলম্বে বিক্ষোভ বন্ধ করতে হবে বিরোধীদের। না হলে ভোট হবেই বলে জানিয়ে দিলেন তাইল্যান্ডের তদারকি সরকারের এক উচ্চপদস্থ অফিসার। কিন্তু বিক্ষোভ বন্ধ করতে এখনও রাজি নন বিরোধীরা। ফলে সরকার সুর নরম করলেও অচলাবস্থা কাটার সম্ভাবনাই তৈরি হল না।

তার অন্যতম কারণ অবশ্য বিরোধীদের অনড় মনোভাব। বিক্ষোভ শুরুর দিন থেকে তাঁরা দু’টি দাবিই জানিয়ে আসছেন। ইঙ্গলাক শিনাবাত্রা ও তাঁর সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে ‘পিপলস কাউন্সিল’ নামে একটি অনির্বাচিত সংস্থার হাতে। প্রথম দাবি মেনে নিয়ে আগেই ইস্তফা দিয়েছেন শিনাবাত্রা ও তাঁর মন্ত্রিসভা। বর্তমানে তাইল্যান্ডের তদারকি সরকারের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু তার পরেও ক্ষোভ কমেনি বিরোধীদের। কারণ অবশ্যই দ্বিতীয় দাবিটি।

ইস্তফা দেওয়ার পরেই ইঙ্গলাক জানিয়েছিলেন, সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী সরকার ভেঙে দেওয়ার ৪৫-৬০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করে ফেলতে হবে। ২ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের বিরোধিতা করে লাগাতার বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছেন বিরোধীরা। শুক্রবার তাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত রায় দেয়, নির্বাচন কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রী একমত হলে ভোট পিছিয়ে দেওয়া যেতেই পারে। তারই অনুষঙ্গ টেনে আজ ইঙ্গলাকের দফতরের অফিসার ভারাতেপ রাত্তানাকর্ন বলেন, “ভোটে বাধা কিংবা তা বয়কট করার উদ্দেশ্যে বিরোধীদের যে বিক্ষোভ চলছে, তা বন্ধ হলে তবেই নির্বাচন পিছোনো যেতে পারে।” এর পরেই আসে সতর্কবাণী “এর পরেও যদি ভোট বানচাল করার চেষ্টা চলে, তা হলে তা পিছোনোর মানে হয় না।”

মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার কথা শিনাবাত্রার। তার পরেই ভোট স্থগিত করার ব্যাপারে শেষ সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু বিক্ষোভ যে থামবে না, সে ব্যাপারে প্রত্যয়ী বিরোধী নেতা সুতেপ তাউগসুবান। তাঁর মতে, “মানুষ কিছুতেই বাড়ি ফিরবেন না কারণ তাঁরা রাজনৈতিক সংস্কার চান।”

অন্য বিষয়গুলি:

thailand election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy