জঙ্গি দমনে আজ সকালে উত্তর ইরাকের মসুল শহরের কাছে ফের হামলা চালাল মার্কিন যুদ্ধবিমান।
দেশের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ লক্ষ্য করে মার্কিন হামলা হয়। ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) অধ্যূষিত মসুলের ওই এলাকা থেকে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে মার্কিন বিমান, ইরাকের সেনাবাহিনী এবং কুর্দিস্তানের পেশমেরগা বাহিনীর এই যৌথ অভিযান বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর।
গত বৃহস্পতিবার আমেরিকার তরফে ইরাক-পরিস্থিতি আপাতত নিরাপদ বলে জানানো হলেও গত কাল ইয়াজিদি সম্প্রদায় অধ্যূষিত কোজো গ্রামে হামলা করে আইএসআইএস। ৮০ জন পুরুষকে হত্যা করে শতাধিক মহিলা এবং শিশুকে অপহরণ করেছে তারা। ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের এক ধর্মীয় প্রধানের দাবি, গ্রামের সব মানুষ ধর্মান্তরিত না হলে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জঙ্গিরা। প্রশাসন জানিয়েছে, অপহৃতদের মসুল এবং তাল আফারের দিকে নিয়ে গিয়েছে জঙ্গিরা। গত বুধবারই শিনজার পাহাড় পরিদর্শনে গিয়ে মার্কিন প্রতিনিধিরা জানান, ইরাকে আপাতত বিপদ কেটেছে ইয়াজিদিদের। গ্রামগুলিতে নজরদারির নির্দেশও দেওয়া হয় পেশমেরগা বাহিনীকে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর জানিয়েছে, কোজো গ্রামে জঙ্গিহানার খবর পেয়েই তৎপর হয় আমেরিকা। সকালে শিনজার পাহাড়ের দক্ষিণের রাস্তায় আইএসআইএস-এর দু’টি যান লক্ষ্য করে দু’বার হামলা চলে। এ দিকে, কয়েক দিন ধরে সিরিয়ায় লাগাতার সরকার-বিরোধী হামলা চালাচ্ছে আইএসআইএস। সরকারপন্থীদের সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠীর লড়াইয়ে ৭০০ জনের মত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
ইরাকের জঙ্গিহামলার নিন্দা করে আমেরিকাকে সমর্থন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কুর্দ বাহিনীকে অর্থ এবং অস্ত্র দিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ইউনিয়নের বিদেশমন্ত্রী। নাশকতা থামাতে তৎপর হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। আজই রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিরক্ষা পরিষদ বৈঠক করে ছ’জন আইএসআইএস সমর্থকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই ছ’জন নিয়মিত ওই গোষ্ঠীকে অর্থ সাহায্য করছে বলেও জানিয়েছে প্রতিরক্ষা পরিষদ। এ দিকে, জঙ্গিগোষ্ঠী বিরোধী আন্দোলনে শর্তসাপেক্ষে ইরাক সরকারের পাশে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছে সুন্নি সম্প্রদায়ের একাংশ।
ধর্নায় ইমরান-কাদরিরা
সংবাদ সংস্থা • ইসলামাবাদ
প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত পাকিস্তানে। শনিবারই ইসলামাবাদ এসে পৌঁছেছে বিরোধী দলনেতা ইমরান খান এবং মৌলবি তাহির-উল-কাদরির নেতৃত্বাধীন দীর্ঘ মিছিল দু’টি। ধর্নায় বসেছেন ইমরান এবং কাদরির হাজারো সমর্থক। দুই নেতাই ঘোষণা করেছেন, যত দিন না স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন শরিফ, তত দিন বিক্ষোভ চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy