ফাইল ছবি।
আরও ঘোরাল ইয়েমেন-আমিরশাহি সঙ্কট। পরিস্থিতি সামলাতে এ বার যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে আমেরিকা। তৈরি রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রও। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউএই)তে ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহীদের ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হানার প্রেক্ষিতে আমেরিকার এই পদক্ষেপ। এ বিষয়ে সম্প্রতি টেলিফোনে আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ও আবুধাবির যুবরাজ মহম্মদ বিন জায়েদ অল-নাহিয়ানের কথা হয়। তার পরই পেন্টাগন বিবৃতি জারি করে।
গত প্রায় সাত বছর ধরে ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে সৌদি আরবের নেতৃত্বে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের মিলিত জোট। এই জোটে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও। হাউথি বিদ্রোহীদের অভিযোগ, ইয়েমেন সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে হাউথি বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থ ও সামরিক সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। এই কারণেই আমিরশাহিতে হামলা চালাতে তৎপর হাউথি বিদ্রোহীরা। গত কয়েক সপ্তাহে হাউথি বিদ্রোহীরা আমিরশাহির উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের ব্যাখ্যা, ইয়েমেনে একের পর এক তেলের ঘাঁটি হাতছাড়া হচ্ছে হাউথি বিদ্রোহীদের। ফলে চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তাই মরিয়া হয়ে আবুধাবিকে নিশানা বানিয়েছে তারা।
১৭ জানুয়ারি আবুধাবির তেল শোধনাগার ও বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হাউথি বিদ্রোহীরা। তাতে তিন জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে দু’জন ভারতীয়। ২৪ জানুয়ারি আবুধাবির আল-দফরা বিমানঘাঁটি থেকে পাল্টা হামলা চলে।
এ বার আরও কোমর বেঁধে হাউথি বিদ্রোহীদের প্রত্যুত্তর দিতে ইউএই-র সাহায্যে সরাসরি পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। এ জন্য ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্র নিয়ে তৈরি আমেরিকার সেনা। রানওয়েতে প্রস্তুত পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানও।
সব মিলিয়ে ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের দমন করতে প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতি আবুধাবি, দুবাই, শারজায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy