শি চিনফিং। —ফাইল চিত্র।
যা প্রত্যাশিত ছিল, তা-ই হল। সোমবার থেকে বেজিংয়ের সামরিক হোটেলে যে রুদ্ধদ্বার প্লেনাম চলছিল, বৃহস্পতিবার তার সমাপ্তিতে ঐতিহাসিক প্রস্তাব পাশ করে শি চিনফিংয়ের ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। আগামী বছর ২০তমপার্টি কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিক ভাবে শি-র হাতে তৃতীয় বারের মতো পার্টির সর্বময় কর্তৃত্ব তুলে দেওয়া হবে।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে, পার্টি, সেনাবাহিনী এবং চিনের নাগরিকরা যেন শি-র নেতৃত্বে আরও ঐক্যবদ্ধ হন এবং চিনা চরিত্র বজায় রেখে সমাজবাদের নতুন যুগ প্রবর্তনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ‘‘শি-র ভাবনাই চিনের সংস্কৃতি ও আত্মার পরাকাষ্ঠা, পার্টির হৃদয়কেন্দ্রে তাঁর অবস্থানই চিনা জাতির পুনরুত্থানে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে,’’ বলা হয়েছে প্রস্তাবে। বিশেষ প্লেনাম ডেকে প্রস্তাব পাশ করানোর মধ্য দিয়ে এমনিতেই মাও জে দং এবং দেং জিয়াওপিংয়ের সমতুল হয়ে উঠেছেন শি, এ বার সীমাহীন কর্তৃত্বের অধিকারী হয়ে তিনি মাওয়ের পর চিনের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রনায়ক হয়ে উঠতে চলেছেন। ২০১৮ সালেই তিনি আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকার পথ প্রশস্ত করেছেন। একই ভাবে এ বার পার্টিতেও দশ বছরের মেয়াদ অতিক্রম করে তৃতীয় বারের জন্য কর্তৃত্ব পেতে চলেছেন তিনি।
‘পার্টির শতবর্ষের সংগ্রামে ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা এবং গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য’ শীর্ষক এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, শি-র নেতৃত্বে চিন ঐতিহাসিক রূপান্তর এবং ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছে। চিন বিশেষজ্ঞদের মতে, পার্টির একশো বছরের ইতিহাস তুলে ধরার মধ্য দিয়ে সেই ইতিহাসে নিজের অবস্থানটিকেও ‘ঐতিহাসিক’ উচ্চতায় তুলে নিয়ে গেলেন শি। এর আগে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি দু’বার এমন প্লেনারি ডেকে বিশেষ প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। ১৯৪৫ সালে মাও জে দং এমনই এক প্রস্তাবের বলে পার্টিতে তাঁর নিরঙ্কুশ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy