ফাইল চিত্র।
জো বাইডেন ক্ষমতায় এলেই আমেরিকা শাসন করবে চিন— ভোটপ্রচারে বারবার এই অভিযোগ তুলে সুর চড়িয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিনা নববর্ষের প্রাক্কালে কাল চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংকে ফোন করলেন বাইডেন। তিনি হোয়াইট হাউসে আসার পরে এই প্রথম বার। তবে সূত্রের খবর, নতুন বছরের শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের পাশাপাশি ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের কূটনীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়েও চিনফিংয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে বাইডেনের। আমেরিকা যে চিনের প্রতিটি পদক্ষেপের উপর নজর রাখছে, সেই বার্তাও দেন নয়া আমেরিকান প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প জমানায় দু’দেশের সরাসরি সংঘাত দেখেছিল দুনিয়া। চিনের সঙ্গে শুল্ক লড়াইয়ের পাশাপাশি, তাইওয়ানকে ‘নিরাপত্তা’ হিসেবে উচ্চপ্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র দিতেও রাজি হয়েছিলেন ট্রাম্প। সর্বোপরি করোনা নিয়ে চাপানউতোর তো ছিলই! প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বরাবার বলে এসেছেন, এই অতিমারির দায় চিনেরই। এই পরিস্থিতিতে বাইডেন ক্ষমতায় আসায় অনেকেই মনে করেছিলেন, এ বার হয়তো দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা হলেও আলো দেখবে।
কিন্তু সে আর হল কই! অর্থনীতিকে হাতিয়ার করে চিনের একাধিক অনাকাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ এবং নাগরিকদের একাংশের প্রতি তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব হয়েছেন বাইডেন। দুই রাষ্ট্রনেতার কথায় উঠে এসেছে হংকং, তাইওয়ান। ঘুরিয়ে ভারত প্রসঙ্গও। ভারত-চিন দ্বন্দ্বে আমেরিকা যে দিল্লির পাশে, তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। দিন কয়েক আগেই বাইডেনের সঙ্গে কথা হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। আমেরিকান বিদেশসচিবের সঙ্গে দফায় দফায় কথা হয়েছে বিদেশমন্ত্রীরও। এই পরিস্থিতিতে চিনফিংয়ের সঙ্গে বাইডেনের কথা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে এখনও ট্রাম্পের মতো মধ্যস্থ হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেননি বাইডেন। বরং দু’দেশ নিজেরাই সমস্যা মেটাক, চাইছে তাঁর প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy