Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Wuhan

উহানই কি উৎস, প্রশ্ন চিনা রিপোর্টে

চিনা বিশেষজ্ঞেরা সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। তাতে তাঁরা উহানের ভাইরোলজি গবেষণাগার থেকে সার্স-কোভ-২ বা নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন।

wuhan

করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ফাইল চিত্র।

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৩০
Share: Save:

অতিমারির শুরু থেকে করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। গোটা বিশ্বের একটা বড় অংশের সন্দেহ, কোভিডের উৎস চিনের উহান শহর। যদিও চিনের দাবি ছিল, এই শহরে প্রথম কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়লেও উহান ভাইরাসের উৎস নয়। যদিও এ বার চিনেরই একটি রিপোর্টে উঠে এল উহানের নাম।

চিনা বিশেষজ্ঞেরা সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। তাতে তাঁরা উহানের ভাইরোলজি গবেষণাগার থেকে সার্স-কোভ-২ বা নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন। ‘দ্য চাইনিজ় সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, উহানের মাংসের বাজার করোনাভাইরাস সংক্রমণের উৎস হতে পারে। ‘নেচার’ পত্রিকায় ৫ এপ্রিল রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে।

চিনা বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, অতিমারির একেবারে গোড়ার দিকে উহান থেকে সংগৃহীত নমুনা বিশ্লেষণ করে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। উহানের হুয়ানান সিফুড বাজারের থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করার পরে এটি প্রথম পিয়ার-রিভিউড বিশ্লেষণ। গোটা বিশ্বের দাবি ছিল, এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হোক। অবশেষে রিপোর্টটি প্রকাশ্যে এল।

উহানের মাংসের বাজারটি নিয়ে দীর্ঘদিন প্রশ্ন ছিল। কিন্তু তার পরে উহানের ভাইরোলজি গবেষণাগারের দিকে আঙুল ওঠে। দুই জায়গাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল ঘুরে এসেছিল। কিন্তু তারা জানিয়েছিল, সন্দেহজনক কিছুই তাদেরচোখে পড়েনি। শেষমেশ চিনা বিশেষজ্ঞরাই জানালেন, কোভিড পজ়িটিভ নমুনায় কোনও প্রাণীর ডিএনএ মিলেছে। এর অর্থ, প্রাণীটি মানবদেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মধ্যস্থতা করেছিল।

বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য জানাচ্ছেন, আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। এখনই চূড়ান্ত ভাবে বলা যাবে না যে, সার্স-কোভ-২ প্রাণীদের থেকে মানুষের দেহে ছড়িয়েছিল। তবে এ নিয়ে এখনও প্রশ্ন থাকলেও নতুন রিপোর্টটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মারণ অতিমারি কী ভাবে শুরু হয়েছিল, সেই অন্ধকারে কিছুটা হলেও আলো ফেলেছে নয় গবেষণা।

নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে জীববিজ্ঞানী ফ্লরেন্স ডেবের বলেছেন, ‘‘অতিমারি শুরু হওয়া ইস্তক যত তথ্য আমাদের হাতে এসেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রিপোর্টটি। ঠিক সময়ে ঠিক কাজ করা হয়েছিল বলেই, এই তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে।’’ ভাইরোলজিস্ট জেস ব্লুমের বক্তব্য, অতিমারির উৎস জানতে আরও পুরনো তথ্য প্রয়োজন। তাঁর কথায়, ‘‘২০১৯ সালের নভেম্বর বা ডিসেম্বর, কিংবা তারও আগের তথ্য পাওয়া গেলে, তখন হয়তো আমরা সঠিক উৎস জানতে পারব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Wuhan China COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy