—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
শূকরের হৃদ্পিণ্ড মানুষের দেহে প্রতিস্থাপন দ্বিতীয় বার সফল হল। এ বারও প্রতিস্থাপনের কেন্দ্র সেই মেরিল্যান্ড। আমেরিকার এই প্রদেশে ২০২২ সালে প্রথম শূকরের হৃদ্পিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল মানুষের শরীরে। বুধবার চিকিৎসকদের দ্বিতীয় চেষ্টাও সফল হয়েছে।
৫৮ বছরের লরেন্স ফসেটের দেহে জিন পরিবর্তিত শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তাঁর রক্তনালীতে সমস্যা ছিল। অভ্যন্তরীণ রক্তপাতও হত। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে, যে কোনও মুহূর্তে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রৌঢ়ের মৃত্যু অনিবার্য ছিল। হৃদ্পিণ্ড প্রতিস্থাপন তাই জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর তিনি সুস্থ আছেন। নতুন হৃদ্পিণ্ডের মাধ্যমেই দিব্যি শ্বাস নিতে পারছেন। শ্বাসক্রিয়া চালু রাখার জন্য বাইরে থেকে কোনও যন্ত্রের সাহায্য লাগছে না।
মানুষের দেহে শূকরের হৃদ্পিণ্ড বসানোর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে। প্রথম বারের প্রতিস্থাপনও সেখানেই হয়েছিল। ৫৭ বছরের ডেভিড বেনেট নতুন হৃদ্পিণ্ড পেয়েছিলেন। মাস দুয়েক আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে নানা রকম জটিলতার কারণে এই মৃত্যু বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। শূকরের হৃদ্পিণ্ড নিয়ে বছরখানেক বেঁচে ছিলেন তিনি।
মানুষের দেহে কোনও পশুর অঙ্গ প্রতিস্থাপন করাকে ‘জ়েনোট্রান্সপ্ল্যান্ট’ বলা হয়। এই ধরনের প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। কারণ, রোগীর দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নতুন এই অঙ্গটির সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারে না। এর আগে শূকরের দেহ থেকে মানুষের দেহে কিডনি সফল ভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। দ্বিতীয় বার হৃদ্পিণ্ড প্রতিস্থাপন চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিকেই স্বীকৃতি দিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy