নারী অধিকার নয়, ইসলামিক আইনই গুরুত্ব পাবে আফগানিস্তানে! জানিয়ে দিল তালিবান। ফাইল চিত্র।
সারা বিশ্বে বিপুল বিতর্ক এবং সমালোচনার পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় রইল তালিবান। তাদের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, নারী অধিকার বা সমানাধিকার নয়, আফগান মুলুকে গুরুত্ব পাবে ইসলামিক আইনই!
শনিবার তালিবদের প্রধান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ সে দেশের সংবাদমাধ্যম খামা প্রেসকে জানিয়েছেন, ইসলামিক আইনের বিরুদ্ধে যায়, এমন কোনও কার্যকলাপকে তাঁরা বরদাস্ত করবেন না। মহিলা স্বাধীনতার বিষয়টি দেশের প্রচলিত ইসলামিক আইনের নিরিখে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কিছু দিন আগেই তালিবান জানিয়েছিল, দেশের কোনও মহিলা অসরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। বাইরে বেরিয়ে তাঁরা কোনও কাজও করতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন সে দেশের মেয়েরা। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী এবং নারী অধিকার রক্ষার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তারপরই মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে সে দেশের তালিবান সরকার।
এ নিয়ে আগেই তালিবানের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিল আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানির মতো দেশগুলি। কূটনৈতিক ভাবেও চাপ বাড়ানো হয়েছিল কাবুলের উপর। কিন্তু এসবের পরেও তালিবান প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, শরিয়ত বিরোধী কোনও কাজকেই সে দেশে মেনে নেওয়া হবে না। শরিয়ত অনুযায়ী, মেয়েদের প্রাথমিকের পর পড়াশোনা করা অন্যায়। সে ক্ষেত্রে ইসলামিক অনুশাসন মেনেই তাদের প্রাথমিক স্তরের পরেই লেখাপড়া করা বন্ধ করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy