এডা ইয়োনাথ
রাইবোজ়োমের গঠন নিয়ে কাজ করে ২০০৯ সালে রসায়নে নোবেল পেয়েছিলেন ইজ়রায়েলি গবেষক এডা ইয়োনাথ, ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী বেঙ্কটরমন রামকৃষ্ণন এবং মার্কিন বিজ্ঞানী টমাস এ স্টেৎজের সঙ্গে।
জার্মানিতে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীদের এক অনুষ্ঠানে এসে আশি ছোঁয়া এডা বললেন, ‘‘বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণিতে (সংক্ষেপে স্টেম) মাইলফলক ছুঁতে যে মহিলারা লড়াই করছেন, তাঁদের বলতে চাই, সমাজ কী বলছে, ভুলে যাও। নিজে যা করতে চাও, সেটাই কর।’’ একই সঙ্গে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এডা মেনে নিয়েছেন, মহিলা-বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করা মোটেই সহজ নয়।
এডার কথায়, ‘‘বিজ্ঞান অনেক বেশি কিছু চায়। মহিলা হিসেবে বিজ্ঞানের জগতে কাজ করাটা খুব সহজ নয়। আমার পড়াশোনার সময়ে স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ শতাংশ ছাত্রীর দেখা মিললেও বিজ্ঞানের উচ্চশিক্ষার স্তরে সংখ্যাটা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। আমার মা ছিলেন বড় জোরের জায়গা। উনি সব সময়ে বলতেন, নিজের স্বপ্নের পিছু ছেড় না।’’
কিন্তু এডা বুঝেছিলেন, তত্ত্বগত ভাবে রাস্তাটা তত মসৃণ নয়। স্টেম দুনিয়ায় পুরুষেরই প্রাধান্য। ইউনেস্কোর রিপোর্টে দাবি, গোটা বিশ্বে স্টেম ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় ৩৫ শতাংশ মহিলা রয়েছেন। এডার সামনে কঠিন পথ থাকলেও তাঁর পরিবার বুঝেছিল, এই মেয়ে কিছু করে দেখাবে। ‘‘বাবা খুব কম বয়সে মারা যান। আমরা সেই সময়ে খুব আর্থিক অনটনে পড়েছিলাম। বিজ্ঞানে ভাল হলেও আমার ইচ্ছে ছিল লেখক হওয়ার। সে সব নিয়ে নানা রকম কল্পনাও করতাম। কিন্তু আমি একেবারেই ভাল লিখতে পারতাম না!’’— মুচকি হেসে বলেন এডা। ভারতে এসেছেন বেশ কয়েকবার। এখন তিনি ইজ়রায়েলের এক বিজ্ঞানকেন্দ্রে কাজ করেন।
নোবেল পাওয়ার পরে খুব ভাল লেগেছিল ঠিকই। এডা যদিও মনে করেন, ‘‘তার চেয়েও বড়, গবেষণায় যে ফলটা আমরা পেয়েছিলাম। সেটা অতুলনীয়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বিজ্ঞান নিয়ে প্রচুর ভাল কাজ হচ্ছে। আমাদের চেয়েও আরও উন্নত মানের কাজ এগোচ্ছে। কিন্তু প্রতি ক্যাটেগরিতে একটা করেই পুরস্কার। তাই সবার পক্ষে নোবেল পাওয়া সম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy