Woman discovers empty apartment behind bathroom mirror in New York dgtl
Mystery
শৌচাগারের আয়নার পিছনে গোপন ঘর খুঁজে পেলেন তরুণী! তার পর...
ঠিক যেন কোনও ভূতের সিনেমা। শৌচাগারে লাগানো আয়নার পিছনে মাঝারি মাপের গর্ত। সেই গর্ত দিয়ে অনবরত বইছে ঠান্ডা হাওয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২১ ১৩:২৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
ঠিক যেন কোনও ভূতের সিনেমা। শৌচাগারে লাগানো আয়নার পিছনে মাঝারি মাপের গর্ত। সেই গর্ত দিয়ে অনবরত বইছে ঠান্ডা হাওয়া।
০২১৫
গর্তের এক প্রান্তে আলো আর অন্য দিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। রোমাঞ্চের খোঁজে সেই অন্ধকারের মধ্যে প্রবেশ করলেন এক তরুণী। তার পর… ঠিক এ ভাবেই এগিয়ে চলে ‘ভূতুড়ে ছবি’র ঘটনাক্রম।
০৩১৫
কিন্তু জানেন কি বাস্তবেও এমনই এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন এক তরুণী! তাঁরও বাড়ির শৌচাগারে লাগানো আয়নার পিছনে ছিল এ রকমই গর্ত। সেই গর্তের ভিতরে প্রবেশ করে তরুণী কী দেখলেন?
০৪১৫
তরুণীর নাম সামান্থা হার্টসুই। তিনি নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের এক বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি।
০৫১৫
নিজের এই অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি নেটমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেছেন তিনি। কয়েকটি ভাগে ভাগ করে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। রোমাঞ্চকর সেই ভিডিয়ো রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়।
০৬১৫
ওই তরুণীর দাবি, তিনি কয়েক দিন ধরেই একটা বিষয় নজর করছিলেন। তাঁর ঘরে ঠান্ডা হাওয়া ঢুকছিল। শৌচাগারের কাছে গেলেই তিনি ওই ঠান্ডা বাতাস অনুভব করতে পারছিলেন তিনি।
০৭১৫
প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, ঘরে লাগানো গরম হাওয়ার যন্ত্রটি হয়তো খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকেই ঠান্ডা হাওয়া ঢুকছে।
০৮১৫
কিন্তু অনেক পর্যবেক্ষণের পর বুঝতে পারেন তাঁর ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ওই যন্ত্র একেবারেই ঠিক রয়েছে। মেরামতির কোনও প্রয়োজন নেই।
০৯১৫
ঠান্ডা হাওয়ার উৎসও উদ্ধার করে ফেলেন তিনি। শৌচাগারের ভিতর থেকেই ওই শীতল হাওয়া ঢুকছিল। আরও বিশদে জানালে শৌচাগারে লাগানো আয়নার চারপাশ দিয়ে হাওয়া ঢুকছিল।
১০১৫
বিষয়টি বুঝতে তরুণী আয়নাটি খুলে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন। তার পিছনে ছিল বেশ বড় আকারের একটা গর্ত। যার অন্য প্রান্ত ঘুটঘুটে অন্ধকার। টর্চের আলোতেও ঠিকমতো দেখা যাচ্ছিল না।
১১১৫
সাহসী তরুণীর জেদ চেপে বসে গর্তের ওপারে যাওয়ার। বন্ধু, আত্মীয়দের নিষেধ উপেক্ষা করেই একটি টর্চ, মাস্ক এবং একটি হাতুড়ি নিয়ে রোমাঞ্চকর অভিযানে নেমে পড়েন তিনি।
১২১৫
গর্তের ওপারে ছিল একটি আলাদা বাড়ি। যা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। বাড়ির ইতিউতি নানা জিনিসপত্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল।
১৩১৫
সেই গর্ত দিয়ে ঢুকে বাড়িটি পুরো ঘুরে দেখেন তরুণী। কোনও মানুষ সেখানে কোনও দিন থাকেননি। বাড়ির সদর দরজা খুলে বাইরেও বার হন তিনি।
১৪১৫
তার পর আবার সদর দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে ওই পথেই ফিরে আসেন। শৌচাগারের গর্ত দিয়ে নিজের বাড়িতে প্রবেশ করেন।
১৫১৫
পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে তরুণী জানান, প্রাণ হাতে নিয়েই রোমাঞ্চের খোঁজে গিয়েছিলেন তিনি। পুরো অভিযানটিতে অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। তিনি এখনও এই বিষয়ে তাঁর বাড়ি মালিকের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে খুব তাড়াতাড়ি শৌচাগারের ওই গর্ত ভরাট করে দিতে চান তিনি।