ওই মহিলা ও তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
একাধিক পুরুষকে প্রেমের জালে ফেলে তাঁদের বাড়িতে ডাকতেন এক মহিলা। তার পর তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়তেন। আর সেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো বানিয়ে পরে মোটা টাকা চেয়ে ব্ল্যাকমেল করতেন ওই মহিলা। এ ভাবে কয়েক কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে বিলকিস আক্তার নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ঢাকায়।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন বিত্তশালীদেরও প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন ওই মহিলা। ব্ল্যাকমেল করে এ ভাবে কোটি কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে বিলকিস আক্তার নামে ওই মহিলা ও তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ?
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, বিলকিস নামের ওই মহিলা বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ভাব জমাতেন। তাঁদের সঙ্গে অল্প দিনের ব্যবধানে প্রেমের সম্পর্ক গড়তেন। তার পর তাঁদের বাড়িতে ডাকতেন। তার পর বাড়িতে তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন। সেই সময় ওই মহিলার বাড়িতে যেতেন খোকন আনন্দ নামে তাঁর এক সহযোগী। তিনি ওই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো করতেন। তার পর সেই ভিডিয়ো ইন্টারনেটে ফাঁস করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিতেন। অভিযোগ, শুধু খোকনই নন, আরও কয়েক জনকে নিয়ে এই প্রতারণার চক্র তৈরি করেছিলেন বিলকিস। পুলিশ সূত্রে দাবি, গত চার বছরে এই কায়দায় শতাধিক ব্যক্তির থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছেন বিলকিস।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অনেক সময় বিমা করানোর কথা বলে বিমা সংস্থার কর্মীর সঙ্গে বাইরে দেখা করতেন বিলকিস। তার পর ছলেবলে তাঁকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে অপহরণ করা হত। তার পর তাঁকে জোর করে নগ্ন করে ভিডিয়ো তোলা হত বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে টাকা আদায় করা হত। বাড়িতে যাদের ডাকতেন বিলকিস, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ যদি শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হতেন, তাঁদের মারধর করা হত বলে অভিযোগ। তার পর জোর করে অশ্লীল ভিডিয়ো বানানো হত।
গত বুধবার সাভার থেকে বিলকিস ও তাঁর সহযোগী খোকনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, সাধারণত বিমা সংস্থার প্রতিনিধি ও এনজিওর ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকর্মীদের ফাঁদে ফেলতেন বিলকিস।
প্রসঙ্গত, খানিকটা একই কায়দায় প্রতারণা করে টাকা হাতানোর অভিযোগে সম্প্রতি ভারতের ওড়িশায় গ্রেফতার করা হয়েছে অর্চনা নাগ নামে এক মহিলা ও তাঁর স্বামীকে। ওড়িশার প্রভাবশালীদের যৌনতার ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেল করে টাকা হাতাতেন বলে অভিযোগ উঠেছে অর্চনার বিরুদ্ধে। যে ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy