—প্রতীকী চিত্র।
সন্ত্রস্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সাত বছর পরে তারা প্রাণঘাতী ব্যাকটিরিয়ার নতুন পরিমার্জিত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। আশঙ্কা প্রকাশ করে হু জানিয়েছে, এমন মারাত্মক প্রাণঘাতী ব্যাকটিরিয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, যেগুলি প্রতিরোধে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ দিচ্ছে না।
হু জানিয়েছে, দ্রুত গতিতে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজ়িস্ট্যান্স’ (এএমআর) তৈরি হচ্ছে। যখন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও অন্যান্য পরজীবীর সংক্রমণ কমাতে আর কাজ দেয় না, সেই পরিস্থিতিকে বলে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজ়িস্ট্যান্স’। এতে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে, রোগ সংক্রমণ বাড়তে থাকে, রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। হু-র পরামর্শ, এই পরিস্থিতি আটকাতে অবিলম্বে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির সন্ধান শুরু করা প্রয়োজন। হু-র বক্তব্য, অনিয়ন্ত্রিত ভাবে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের জন্যই এই পরিস্থিতি
তৈরি হয়েছে।
২০২৪ সালের ‘ব্যাকটিরিয়াল প্রায়োরিটি প্যাথোজেনস লিস্ট’ (বিপিপিএল)-এ ১৫ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক-রেজ়িস্ট্যান্ট (অ্যান্টিবায়োটিকে কাজ দেয় না) ব্যাকটিরিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে— সবচেয়ে বিপজ্জনক, খুব বিপজ্জনক ও মাঝারি বিপজ্জনক। এই সব বিপজ্জনক ব্যাকটিরিয়া চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি সমাধানের পথ বাতলানো হয়েছে তালিকায়। যাতে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির সন্ধানে সুবিধা হয়, সে কারণে ব্যাকটিরিয়া সংক্রান্ত পাওয়া যাবতীয় তথ্য ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও প্রকাশ করেছে হু।
হু-র অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজ়িস্ট্যান্স বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর-জেনারেল ইউকিকো নাকাতানি বলেন, ‘‘বিশ্বে কী পরিমাণ ড্রাগ রেজ়িস্ট্যান্স (ওষুধে কাজ দিচ্ছে না এমন) ব্যাকটিরিয়া রয়েছে, তার একটা মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্যে এর প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে সামগ্রিক বিপর্যয় প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।’’ ২০১৭ সালে প্রথম বার বিপিপিএল প্রকাশ করেছিল হু। তার সাত বছর পরে ফের ‘সতর্কবার্তা’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy