যক্ষ্মা রোগীর চিকিৎসা করছেন ডাক্তার। —ফাইল চিত্র।
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতেই নতুন উদ্বেগের কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে যক্ষ্মা! মঙ্গলবার হু বিশ্ব যক্ষ্মা রিপোর্ট, ২০২৪ প্রকাশ করেছে। তাতে প্রকাশ, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী সাড়ে ১২ লাখ যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৬১ হাজার রোগী এইচআইভি আক্রান্ত ছিলেন। হু জানিয়েছে, সংক্রামক রোগগুলির মধ্যে গত বছরে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি রোগী মৃত্যুর কারণ যক্ষ্মা। তাদের আশঙ্কা, সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগের তালিকায় হয়তো করোনাকে ছাপিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে যক্ষ্মা।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে তিন বছর (২০২০-২০২২) করোনাই ছিল সব চেয়ে প্রাণঘাতী সংক্রামক ব্যাধি। এ বার বিশ্ব যক্ষ্মা রিপোর্ট প্রকাশের পর হু-এর আশঙ্কা, করোনাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে যক্ষ্মা। হু-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাসের কথায়, “যক্ষ্মা এখনও অনেক মানুষের মৃত্যুর এবং অসুস্থতার কারণ হতে পারে। আমাদের কাছে এটি শনাক্ত, প্রতিরোধ এবং চিকিত্সা করার সরঞ্জাম রয়েছে। তার পরেও এই পরিস্থিতি চিন্তার বিষয় তো বটেই।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরে বিশ্বের মোট যক্ষ্মা সংক্রমণের ২৬ শতাংশই হয়েছে ভারতে। এ ছাড়া, ইন্দোনেশিয়ায় ১০ শতাংশ, চিনে ৬.৮ শতাংশ, ফিলিপিনসে ৬.৮ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ৬.৩ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে।
ভারত-সহ ৩০টি দেশে যক্ষ্মা উদ্বেগের কারণ বলে মনে করছে হু। তালিকায় রয়েছে চিন, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তানের মতো দেশগুলিও। এমন অবস্থায় এই রোগ নিরাময়ে প্রতিটি দেশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপেরও পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দেশগুলিকে যক্ষ্মা মোকাবিলায় নিজ নিজ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার উচিত বলে মনে করছেন হু প্রধান গেব্রিয়েসাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy