— ফাইল চিত্র।
কঙ্গোয় দাবানলের মতো সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেই মাঙ্কি পক্স নিয়ে গোটা বিশ্বে জরুরি অবস্থা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বুধবার সংস্থার তরফে ওই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মাঙ্কি পক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল হু।
কী এই মাঙ্কি পক্স? সংক্রমিতই বা হয় কী ভাবে?
আশির দশকে প্রথম মাঙ্কি পক্সের খোঁজ মেলে। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা তাদের বাস মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলে (রেন ফরেস্ট)। চিকেন পক্সের মতো পক্সের ক্ষেত্রে কেবল গায়ে র্যাশ কিংবা ফুসকুড়ি বেরোয়। কিন্তু মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ের পাশাপাশি, লসিকাবাহেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে এই রোগে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। যৌন সংসর্গ ছাড়াও শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমেও এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক-পরিচ্ছদ থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
চলতি বছরের মে মাস থেকেই বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ। হু-র পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে শুধু আফ্রিকাতেই ১৪ হাজারেও বেশি আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৫২৪ জনের। মাঙ্কি পক্স ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে ভারতেও। কেরলে জারি হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy