হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসাস। —ফাইল চিত্র
উহান থেকেই যে করোনাভাইরাস প্রথম ছড়িয়েছিল, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভাবে তথ্যপ্রমাণ-সহ সেই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে দিতে নারাজ চিন। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র একটি করোনা বিশেষজ্ঞ দলকে সে দেশে যেতেই দিচ্ছে না বেজিং। এ নিয়ে তীব্র উষ্মা প্রকাশ করলেন হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসাস। তিনি অত্যন্ত হতাশ বলে সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন হু প্রধান।
বছর খানেক আগে উহান থেকে ছড়িয়েছিল করোনাভাইরাস। তার পর তা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। কিন্তু কী ভাবে, কোথা থেকে সেই ভাইরাস প্রথম ছড়িয়েছিল, কোনও প্রাণীর থেকে ছড়িয়েছিল কি না, সেই সব বিষয়ে তদন্ত করে দেখতে জানুয়ারির গোড়াতেই ১০ জনের বিশেষজ্ঞ দলের যাওয়ার কথা ছিল উহানে। এমনকি, দলের দুই সদস্য চিনের উদ্দেশে রওনা দিলেও তাঁদের বেজিংয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে হু।
এই নিয়েই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘেব্রিয়েসাস বলেন, “আজ (বুধবার) আমরা জানতে পেরেছি যে, চিনের আধিকারিকরা বিশেষজ্ঞ দলের যাওয়ার অনুমতি দেয়নি চিন। বেজিংয়ের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়ে দিয়েছি, এই মিশন হু-এর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
আরও পড়ুন: দেশে মোট মৃত্যু দেড় লক্ষ ছাড়াল, নিয়ন্ত্রণে দৈনিক সংক্রমণও
এই মিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন হু-এর পশু-পাখির রোগ বিশেষজ্ঞ পিটার বেন এমবারেক। পাখি বা অনম্য পশুদের থেকে কোনও রোগ অন্য প্রাণীর মধ্যে কী ভাবে ছড়িয়ে পড়ে, সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এমবারেক। গত জুলাই মাসেও চিনে গিয়ে অনুসন্ধান করে এসেছেন তিনি। কিন্তু সেটা ছিল মূল মিশনের প্রাক মিশন।
হু-এর জরুরি বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান জানিয়েছেন, এই প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছিলেন চিনের উদ্দেশে। কিন্তু বেজিং অনুমতি না দেওয়ায় এক জন ফিরে এসেছেন। আর এক জন অন্য দেশে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি ও আস্থা রাখি, এটা শুধুমাত্র লজিস্টিক ও কূটনৈতিক সমস্যা। এটা খুব শীঘ্রই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব।”
চিনের এই অবস্থান অবশ্য নতুন কিছু নয়। করোনাভাইরাস প্রথম কোথা থেকে ছড়িয়েছিল তা নিয়ে বরাবরই ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখেছে শি চিনফিং প্রশাসন। তা নিয়ে আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বার বার চিনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি, শাস্তির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। কিন্তু বেজিং কখনও দাবি করেছে একাধিক জায়গায় একসঙ্গে ছড়িয়েছিল ভাইরাস, তো কখনও বলেছে ভাইরাসের উৎস সন্ধানে তারা নিজেরাই তদন্ত করছে। ফের হু-এর প্রতিনিধিদের নিজেদের দেশে প্রবেশ করতে না দিয়ে সেই ধোঁয়াশাই আরও বাড়াল চিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy