নাকে স্প্রে আকারে নেওয়া টিকাই ভবিষ্যৎ ফাইল চিত্র।
আর ইঞ্জেকশন নয়, ভবিষ্যতের করোনা প্রতিষেধক হিসাবে নেজ়াল স্প্রে আর ট্যাবলেট, ক্যাপসুলের উপরেই ভরসা রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) অন্যতম শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন গতকাল এই ‘সেকেন্ড জেনারেশন’ করোনা প্রতিষেধকগুলিকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, এই ধরনের নেজ়াল স্প্রে আর ট্যাবলেট অনেক বেশি সুবিধাজনক। প্রথমত: ইঞ্জেকশনের তুলনায় সেগুলো নেওয়া সহজ। সে ক্ষেত্রে নিজে নিজেই টিকা নেওয়া যাবে। ফলে অনেক বেশি মানুষকে দ্রুত টিকাকরণের আওতায় আনা যাবে। দ্বিতীয়ত: আরও বেশি সময় ধরে গবেষণা চালানোয় ট্যাবলেট বা ওষুধগুলির কার্যক্ষমতাও বেশি হতে পারে।
এ দিনই রাষ্ট্রপুঞ্জের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক লিসা হেডম্যান জেনেভায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক বৈঠকে বলেন, সিরিঞ্জ উৎপাদন ব্যাপক হারে না-বাড়ালে খুব তাড়াতাড়ি সিরিঞ্জের বিপুল সঙ্কট দেখা দিতে পারে। যার ফলে শিশুদের সাধারণ টিকাকরণের কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। সে ক্ষেত্রে নেজ়াল স্প্রে বা ট্যাবলেটের আদলে করোনা প্রতিষেধক পাওয়া গেলে সিরিঞ্জ সঙ্কটের অনেকটাই সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
হু-এর বিজ্ঞানী সৌম্যা এ দিন জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ১২৯টি প্রতিষেধকের মানব শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অপেক্ষায় রয়েছে আরও ১৯৪টি। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত, এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হবে। শেষ পর্যন্ত আমরা আমাদের পছন্দমতো এবং সবচেয়ে কার্যকর টিকা বেছে নিতে পারব। তখন খুব সহজে একটি ওষুধ খেয়ে নেওয়া যাবে। কিংবা নিজেই নেওয়া যাবে নেজ়াল স্প্রে।।’’ নেজ়াল স্প্রের কার্যকারিতা নিয়ে বলতে গিয়ে সৌম্যা জানান, নাকে স্প্রে করে স্থানীয় ভাবে ভাইরাস আটকে দেওয়া যায়। তাতে তা ফুসফুস পর্যন্ত ছড়াতে পারে না। চটজলদি কাজ করে এই ধরনের প্রতিষেধকগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy