রিচার্ড স্পেনসার।—ছবি এএফপি।
যুদ্ধাপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে নেভি সিলের এক সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। পদে অবনতি হয় তাঁর। কিন্তু এই শাস্তির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছিলেন, ‘‘অল্প দোষে বড় সাজা।’’ নৌ-সচিবের সঙ্গে মতানৈক্য বেধেছিল প্রেসিডন্টের। কিন্তু সেই বাদানুবাদ এ পর্যায়েই পৌঁছল, যে ক্ষমতাচ্যুত করা হল নৌ-সচিব রিচার্ড স্পেনসারকেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে স্পেনসারকে রবিবার বরখাস্ত করলেন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার।
ইরাকে নিযুক্ত থাকাকালীন নেভি সিলের সদস্য এডওয়ার্ড গালাঘারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছিল। ইসলামিক স্টেটের ধৃত জঙ্গিদের গলা কেটে খুন করেছিলেন নেভি সিলের এই সদস্য। তার পর মৃতদেহগুলির সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ছবি তুলেছিলেন তিনি। হত্যার ঘটনাটিতে সাজা হয়নি এডওয়ার্ডের। কিন্তু মৃতদেহের স্তূপের সামনে ছবি তোলাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় সেনা-আদালতে। দোষী সাব্যস্ত হন এডওয়ার্ড। শাস্তি হিসেবে পদে অবনতি হয় তাঁর। কিন্তু এতে অখুশি হন ট্রাম্প। এডওয়ার্ডের পাশে দাঁড়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রতিরক্ষা সচিব এসপারও জানিয়েছিলেন, এডওয়ার্ডকে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা বলে ওঁকে দেওয়া নেভি সিলের সম্মানসূচক ট্রাইডেন্ট পিন কেড়ে নেওয়া ঠিক নয়। ট্রাম্প প্রকাশ্যে এই ঘটনার বিরোধিতা করেছিলেন। এমনকি নেভি সিলের ওই সদস্যের পদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন। টুইট করেন, ‘‘এডি, নিজের কর্মজীবনে যে সম্মান অর্জন করেছেন, সেই সম্মানের সঙ্গেই চাকরি থেকে অবসর নেবেন। ওই ট্রাইডেন্ট পিনও ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’’ কিন্তু এত কিছু পরেও স্পেনসার সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, কোর্টের রায় মেনে চলা হবে। এর জেরেই স্পেনসারকে ‘শাস্তি’ পেতে হল বলে মনে করছেন অনেকে।
বরখাস্ত হওয়ার পরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন স্পেনসার। একটি চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন— ‘‘উপদেষ্টাদের মতামত নিয়ে আইন তৈরি হয়েছে। আমি এটাই মনে করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমার এই ভাবনাচিন্তার সঙ্গে, কম্যান্ডার অব চিফ-এর ভাবনা মেলে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy