কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন লিবারাল নেতা মার্ক কার্নে। ভারতের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চায় কানাডা। এখনও সেই সুযোগ রয়েছে। একই ভাবে আমেরিকার বাণিজ্যনীতি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুঁশিয়ারির সমালোচনাও করেছেন।
দলের অভ্যন্তরে জনপ্রিয়তা হারিয়ে গত জানুয়ারিতে জাস্টিন ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে পর্যন্ত তিনিই দায়িত্ব সামলেছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নির্বাচনের জন্য কানাডার লিবারাল পার্টির অভ্যন্তরে ভোটাভুটি হয়। ৮৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জেতেন কার্নে। রবিবার (স্থানীয় সময়) সেই ফল প্রকাশিত হয়েছে। লিবারাল পার্টির ১ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি সমর্থক ভোট দিয়ে কার্নেকে জিতিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিলেন ৫৯ বছরের এই কানাডিয়ান অর্থনীতিবিদ। সম্প্রতি তাঁকে ভারত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কার্নে বলেন, ‘‘কানাডার এখন বাণিজ্যিক সম্পর্কে আরও বৈচিত্র্য দরকার। কানাডার সঙ্গে সমমানসিকতাসম্পন্ন দেশের সঙ্গে আরও বেশি করে বাণিজ্য করতে হবে। নতুন বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। ভারতের সঙ্গেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সুযোগ রয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হলে অবশ্যই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করব।’’
খলিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টদের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর ওই মন্তব্যের পর থেকে ভারত এবং কানাডার সম্পর্কের ধারাবাহিক অবনতি হয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী ছবিটা বদলাতে পারবেন কি না, সে দিকে নজর থাকবে। তবে কার্নে কানাডার কুর্সিতে বেশি দিন থাকতে পারবেন না। কারণ, তাঁকে দ্রুত সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে কানাডায় ভোট হওয়ার কথা। বিভিন্ন সমীক্ষায় ইঙ্গিত, জনমতের পাল্লা ভারী কনজ়ারভেটিভ পার্টির দিকে। ফলে লিবারালদের ফেরার সম্ভাবনা কম।