ছবি: সংগৃহীত
মুখোশ পরা চলবে না। রং মেখে বা কাপড় বেঁধে আড়াল করা যাবে না মুখ। সভা-সমাবেশ বা পথে কোনও ভাবেই গোপন করা যাবে না পরিচয়। সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে এমনই ফরমান জারি হল হংকংয়ে। প্রশাসনের সাফ কথা, নিজেকে আড়ালে রেখে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আর বরদাস্ত করা হবে না।
অনেকেই একে ‘দানবিক’ আখ্যা দিচ্ছেন। বলছেন, এটা কার্যত জরুরি অবস্থা জারি করার মতো। কারও মতে, ঔপনিবেশিক জমানার শাসন কায়েম করার দিকে আরও এক ধাপ এগোল ক্যারি ল্যামের প্রশাসন। আগামিকাল থেকে চালু হবে এই নিষেধাজ্ঞা। তবে আজ এই ঘোষণা হতেই দেখা গিয়েছে, হংকংয়ের পথে মুখোশ পরা বিক্ষোভকারী প্রচুর। আন্তর্জাতিক স্তরেও আপত্তি উঠতে শুরু করেছে এই নিয়ে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার মুখপাত্র মার্তা হুর্তাডোর মন্তব্য, ‘‘যে কোনও নিষেধাজ্ঞারই একটা আইনি ভিত্তি প্রয়োজন।’’
সপ্তাহের পর সপ্তাহ বিক্ষোভে উত্তাল হংকংয়ের রাজপথ। বিক্ষোভকারীদের বাগে আনতে মুখোশ-বিরোধী আইন আনতে পারে ল্যাম প্রশাসন, এমনটা শোনা যাচ্ছিল কিছু দিন ধরেই। গত ১ অক্টোবর বিক্ষোভের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। ওই দিন এক বিক্ষোভকারীকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বুকে গুলি করে পুলিশ। আজও ১৪ বছরের এক কিশোরকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালানো হয়েছে। মুখোশে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ল্যামের যুক্তি, ‘‘পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে দেওয়া যায় না।’’
কোন-কোন ক্ষেত্রে কার্যকর হবে এই মুখোশ-বিরোধী কানুন?
হংকংয়ের সুরক্ষাসচিব জন লি জানান, সব সমাবেশ বা মিছিলেই পরিচয় গোপন করার জন্য মুখোশ পরা বা মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ হল। মুখোশ নিষিদ্ধ হলে পুলিশের ধরপাকড় করতে আরও সুবিধে হবে বলে আশা ল্যাম প্রশাসনের। শুধু পরিচয় গোপনই নয়, কাঁদানে গ্যাস থেকে বাঁচতেও মুখোশের ব্যবহার করেন বিক্ষোভকারীরা। অনেকে স্বাস্থ্যের কারণেও তা করেন। এই বিতর্কিত ব্যবস্থা কার্যকর করতে প্রশাসনকে বেশ বেগ পেতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি হিতে বিপরীত হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। হংকংয়ে বেড়ে যেতে পারে বিক্ষোভের মাত্রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy