প্রতীকী চিত্র।
প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় থাবা বসাচ্ছে করোনাভাইরাস। মানুষকে বাঁচাতে নতুন নতুন এলাকা লকডাউনও হচ্ছে। তাই খাবার, ওষুধ মজুত করতে মানুষের মধ্যে যেমন হুড়োহুড়ি চলছে, তেমনই চাহিদা বাড়ছে মাদক দ্রব্যেরও।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলিতে যেমন লম্বা লাইন দেখা, তেমনই এমন কিছু জিনিসের চাহিদাও আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে যা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে পাওয়া যায় না, যেমন গাঁজা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, আমেরিকা, কানাডা এমনকি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই চাহিদা প্রায় দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে গত দু’ সপ্তাহে। শুধু আমেরিকায় ১৬ মার্চ থেকে ২২ মার্চের মধ্যে গাঁজার বিক্রি ৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এমনকি চিকিৎসার কাজে লাগে এমন গাঁজার বিক্রিও বেড়েছে ৪১ শতাংশ। এই হিসেব করা হয়েছে গত বছর এই সময় যে চাহিদা ছিল তার ভিত্তিতে।
আরও পড়ুন: করোনার আতঙ্কের মাঝে গির অরণ্যে ধরা পড়ল মন ভাল করা ছবি
আমেরিকায় অত্যাবশ্যক পরিষেবা ছাড়া প্রায় সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার কাজে লাগে এমন গাঁজার বিক্রি বন্ধ নেই, কারণ এটি অত্যাবশ্যক জিনিসের তালিকায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় ঘরবন্দি, বাড়িতে বসে কুকুরকে দিয়েই আনিয়ে নিলেন চিপস
কানাডার অন্টেরিতে অনলাইনে গাঁজা বিক্রি বিপুল বেড়ে গিয়েছে। ‘অন্টেরিও ক্যানাবিস স্টোর’ ওয়েবসাইটের তরফে জানানো হয়েছে, দু’ সপ্তাহ আগে যা চাহিদা ছিল এখন তা এক লাফে দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের মধ্যে বন্ধুর কাছে যেতে চেয়ে টুইট, বাঁচার পথ দেখাল পুলিশ
ইউরোর ছবিওটাও কম বেশি একই। নেদারল্যান্ডসে রাজধানী আমস্টারডামে যেমন কিছু কফি শপের বাইরে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। কারণ এই কফি শপগুলিতে গাঁজা ভরা সিগারেট পাওয়া যায়। করোনার জন্য দোকাগুলি প্রথমে বন্ধ করে দেওয়া হলেও পরে সেগুলি খোলা হয় ক্রেতাদের কথা ভেবে।
বিশ্বজুড়ে মানুষ খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টয়লেট পেপারের জন্য যেমন লম্বা লাইন দিচ্ছেন, তেমন লকডাউনে বাড়িতে যাতে গাঁজার ভাণ্ডার ফুরিয়ে না যায় সে দিকেও নজর রাখছেন কিছু মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy