সহাস্য: ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি বিজয় মাল্য। মঙ্গলবার লন্ডনে। এপি
ভারতীয় জেলে প্রাকৃতিক আলো বা বিশুদ্ধ বাতাস ঢোকে না— এমনই অভিযোগ ছিল ঋণখেলাপের মামলায় অভিযুক্ত ব্রিটেনে পলাতক মদ-ব্যবসায়ী বিজয় মাল্যের। লন্ডনে তাঁর প্রত্যর্পণের মামলার শুনানিতে আজ বিচারক ভারত সরকারের উদ্দেশে জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলের (দেশে ফেরানো হলে যেখানে মাল্যকে রাখার কথা ভাবছে ভারত) অন্দরের ভিডিয়ো তুলে পাঠাতে। আর তিন সপ্তাহ পরে, ১২ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি।
আজ ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এক সংক্ষিপ্ত শুনানিতে বিচারক এমা আরবাথনট জানিয়েছেন, তিনি এই মামলায় আর্থার রোড জেলের কিছু ছবি দেখেছেন। কোর্টে এগুলি জমা দিয়েছিলেন ভারত সরকারের প্রতিনিধিরাই। মুম্বইয়ের সেন্ট্রাল জেলের ১২ নম্বর ব্যারাক সম্পর্কে বিচারক কিছু তথ্য জেনেছেন মাল্যর পক্ষের আইনজীবীদের কাছ থেকেও। তাই পুরোপুরি নিঃসন্দেহ হতে এ বার বিচারক ১২ নম্বর ব্যারাকের প্রতিটি অংশের ভি়ডিয়ো ধাপে ধাপে তুলে ভারত সরকারকে জমা দিতে বলেছেন। বিচারক আরবাথনটের কথায়, ‘‘১২ নম্বর ব্যারাকের ভিডিয়ো দেখতে চাই। দুপুর বেলায় জানলা থেকে কেমন আলো আসে, তা ক্যামেরায় ধরা হোক। দরজার যে ছবি দেওয়া হয়েছে, সেই দরজা দিয়ে কাউকে ঢুকতে বলা হোক। কোনও কৃত্রিম আলো যেন ব্যবহার করা না হয়।’’ ওই ভিডিয়ো যাতে সব পক্ষের কাছে পৌঁছে যায়, তার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছেন তিনি।
বিমানসংস্থা কিংফিশারের প্রাক্তন কর্তা বিজয় মাল্যর আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, ভারত সরকার আর্থার রোড জেলের যে সব ছবি জমা দিয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, প্রাকৃতিক আলো বা বিশুদ্ধ বাতাস— কিছুই সেখানে পাওয়া সম্ভব নয়। যদিও ভারতের তরফে আদালতে জানানো হয়, মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ মেনে জেলে সব বন্দোবস্ত করা হয়। মাল্যকেও যে ব্যারাকে রাখা হবে, সেখানে আলো-বাতাস রয়েছে। তা ছাড়া, পশ্চিমী কায়দার শৌচালয় এবং পরিচ্ছন্ন বিছানার ব্যবস্থাও থাকবে। সেখানে ভিড়ও নেই, ওই ব্যারাকে মাত্র ছ’জন বন্দিকে রাখা হয় বলে দাবি করেন ভারত সরকারের প্রতিনিধি-আইনজীবী মার্ক সামার্স।
৬২ বছর বয়সি মাল্য ৯ হাজার কোটির ঋণখেলাপের মামলায় অভিযুক্ত। এ দিন সকালে শুনানিতে হাজির হওয়ার পরে তিনি ফের ভারত সরকারের সঙ্গে আপস-মীমাংসায় বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ঋণ মেটানোর জন্য কর্নাটক হাইকোর্টের কাছে একটি সার্বিক প্রস্তাব দিয়েছি। টাকা চুরি, ঋণ খেলাপ— এ সবই ভয়ঙ্কর মিথ্যে অভিযোগ। এখন সব সম্পত্তি কোর্টের জিম্মায়, আমিও কোর্টের হাতে। আশা করি এর শেষ হবে। সব কিছু শেষ পর্যন্ত ঠিক হবে কোর্টেই।’’ আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর জামিনের মেয়াদ বেড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy