Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

মাল্যের প্রত্যর্পণে সায় ব্রিটিশ কোর্টের, বড় জয় বললেন জেটলি

এই রায়ের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের মধ্যে ব্রিটিশ হাইকোর্টে আর্জি জানানোর অধিকার রয়েছে তাঁর। সেখানেও ব্যর্থ হলে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন তিনি।

আদালতের বাইরে সুখটান। রায় ঘোষণা তখনও হয়নি। ছবি: এপি।

আদালতের বাইরে সুখটান। রায় ঘোষণা তখনও হয়নি। ছবি: এপি।

সংবাদ সংস্থা 
লন্ডন শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:০৩
Share: Save:

ভারতে ৯ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণায় অভিযুক্ত প্রাক্তন কিংফিশার কর্ণধার বিজয় মাল্যের প্রত্যর্পণে সায় দিল ব্রিটেনের আদালত। এই রায় ভারতের পক্ষে বড় জয় বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। মাল্যের এখনও দাবি, তিনি ‘চুরি’ করেননি। এই রায়ের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের মধ্যে ব্রিটিশ হাইকোর্টে আর্জি জানানোর অধিকার রয়েছে তাঁর। সেখানেও ব্যর্থ হলে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন তিনি।

বছরখানেক আগে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে মাল্যের প্রত্যর্পণের মামলা শুরু হয়। সওয়ালের সময়ে সিবিআইয়ে দুর্নীতি, ভারতীয় রাজনীতিকদের কাজকর্ম, জেলের অবস্থার মতো নানা চিত্র তুলে ধরেছিলেন মাল্যের আইনজীবীরা। কিন্তু আজ বিচারক এমা আর্বাথনট তাঁর রায়ে জানান, মাল্যের প্রত্যর্পণের পক্ষে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। তিনি সংস্থার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেননি। ব্যাঙ্ককে এক কথা বলে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে তাঁর সংস্থা। দিয়েছে ভুয়ো নথিও। মাল্যকে ‘রত্নশোভিত ধনকুবের প্লেবয়’ বলেছেন বিচারক। ভারতের জেলে মাল্যের ঝুঁকির আশঙ্কাও মানেনি আদালত। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভেদের অনুমোদনের জন্য প্রত্যর্পণের নির্দেশ পাঠানো হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে।

মাল্যের মতো আর্থিক অপরাধীদের নিয়ে বারবার নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কোণঠাসা করছেন বিরোধীরা। এ দিনই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেলের ইস্তফার ফলেও অস্বস্তিতে কেন্দ্র। দুই শীর্ষ কর্তার দ্বন্দ্বের ফলে সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ দিনের রায়ে সরকার ও সিবিআই কিছুটা স্বস্তি পেল বলেই মনে করছেন রাজনীতিকেরা। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির মতে, ‘‘ভারতের সঙ্গে প্রতারণা করে কেউ মুক্তি পাবে না। ইউপিএ জমানায় এক অপরাধী সুবিধে পেয়েছিল। এনডিএ তাকে ফিরিয়ে আনছে।’’ সিবিআইয়ের বক্তব্য, ‘‘আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমাদের পক্ষে জোরালো আইনি যুক্তি রয়েছে।’’ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের দাবি, ‘‘মাল্যের প্রত্যর্পণের পুরো কৃতিত্ব নরেন্দ্র মোদীর।’’ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর অবশ্য প্রশ্ন, ‘‘কিসের জয়? মোদী ব্যাঙ্ক-ব্যবস্থাই বন্ধুদের হাতে তুলে দিয়েছেন।’’

মাল্যের দাবি, মামলা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি চুরি করে পালিয়েছি, এই ধারণাই ভুল। ঋণ নিয়েছিল কিংফিশার। ভুল সিদ্ধান্তের ফলে সঙ্কট দেখা দেয়।’’ মাল্য জানান, ১৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বিক্রি করে তিনি পাওনা মেটানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতের আদালতে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy