ছবি: রয়টার্স।
হামাসের হাতে এখনও দুশোর বেশি মানুষ পণবন্দি। তাঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন ইজ়রায়েলের নাগরিক, তেমনই বেশি কিছু আমেরিকা এবং অন্য দেশের নাগরিকও রয়েছেন বলে ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) সূত্রে খবর। হামাসের হাতে বন্দি সেই সব মানুষগুলিকে উদ্ধারের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইজ়রায়েল। কিন্তু অপহৃতদের কোথায় রাখা হয়েছে, তার এখনও কোনও হদিস পাওয়া যায়নি।
আমেরিকার প্রশাসন সূত্রে খবর, অপহৃতদের মধ্যে তাদের ১০ নাগরিক রয়েছেন। হামাস ইতিমধ্যেই শর্ত রেখেছে, অপহৃতদের তখনই মুক্তি দেওয়া হবে, যখন ইজ়রায়েল তাদের হাতে বন্দি প্যালেস্তিনীয়দের মুক্তি দেবে। যদিও সেই শর্তে রাজি হয়নি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। বরং হামাসের বিরুদ্ধে হামলা আরও বাড়িয়েছে। ইজ়রায়েলের কাছে এখন সবচেয়ে বড় ‘উদ্বেগের’ বিষয় হামাসের হাতে অপহৃতরা। তাঁদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনাই এখন নেতানিয়াহুর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
ইজ়রায়েলের পাশাপাশি এ বার তাই আমেরিকাও অপহৃতদের খুঁজতে ময়দানে নেমেছে। আমেরিকা প্রশাসনের এক সূত্রের দাবি, অপহৃতদের খুঁজতে গাজ়ায় নজরদারি ড্রোন পাঠানো হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে এই তল্লাশির কাজ চালানো হচ্ছে। তবে এই তল্লাশির বিষয়টি এই প্রথম প্রকাশ্যে এল। আমেরিকা মনে করছে, গাজ়ার নীচে তৈরি সুড়ঙ্গেই অপহৃতদের রেখেছে হামাস। কিন্তু সঠিক জায়গাটিকে এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি ইজ়রায়েল এবং আমেরিকা।
বৃহস্পতিবারই ইজ়রায়েল দাবি করেছে পুরো গাজ়া শহরকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু হামাস তাদের তৈরি সুড়ঙ্গকে ব্যবহার করে ইজ়রায়েলি সেনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। গাজ়ার উত্তর প্রান্তকে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়াই এখন লক্ষ্য ইজ়রায়েলের। তাদের দাবি, এই অংশেই হামাসের বেশির ভাগ ডেরা রয়েছে। সেই ডেরাগুলি ধ্বংস করে গাজ়ার দক্ষিণ প্রান্তের দিকে এগোতে চাইছে তারা। ইজ়রায়েল এবং হামাসের লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত ন’হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy