সুপ্রিম রায়ে আপাতত গর্ভপাতের ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন আমেরিকার মহিলারা। ফাইল চিত্র।
লম্বা বিতর্কে আপাতত পূর্ণচ্ছেদ না পড়লেও যতিচিহ্ন পড়ল। আমেরিকার সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, সে দেশের মহিলারা আপাতত গর্ভপাতের ওষুধ ‘মাইফপ্রিস্টোন’ ব্যবহার করতে পারবেন। আমেরিকার একাধিক নিম্ন আদালত এই ওষুধটির ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিচার বিভাগীয় আধিকারিকরা। এই বিষয়ে আইনি ফয়সলার জন্য ৯ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ তৈরি করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারক (৬ জন) গর্ভপাতের ওষুধটি ব্যবহারের পক্ষে রায় দেন। তবে আদালত জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রেই এই ওষুধটি ব্যবহার করা যাবে।
গত বছর গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করেছিল আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট। বিশ্বের একেবারে প্রথম সারির একটি দেশে এমন ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যায় মানুষ। সেই বিতর্ক এখনও অব্যাহত। এর মধ্যেই টেক্সাস এবং ওয়াশিংটনের ফেডারেল বিচারক বিপরীত রায় দেন। যা নিয়ে ধুন্ধুমার বাধে আমেরিকায়।
সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের অধিকার খর্ব করে দেওয়ার পর থেকেই গর্ভপাতের ওষুধ ‘মাইফপ্রিস্টোন’ নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশের ফেডেরাল আদালতে বিচার চলছে। ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ) গর্ভপাতের ওষুধটিকে যে অনুমোদন দিয়েছিল, তা স্থগিত করে দেয় টেক্সাসের আদালত। বিচার বিভাগকে সাত দিন সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে তারা আবেদন জানাতে পারবে।
এ ক্ষেত্রে গর্ভপাতের ওষুধটি যৌন সম্পর্ক স্থাপনের পরে গর্ভাবস্থারোধের জন্য যে ওষুধ খাওয়া হয়, সেটি নয়। অর্থাৎ, এটি গর্ভনিরোধক বড়ি নয়। এটি নেওয়া হয়, যখন কোনও মহিলা জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। অর্থাৎ ভ্রূণহত্যায় ব্যবহার করা হয় ওষুধটি। ২০০০ সালে মাইফপ্রিস্টোন-কে অনুমোদন দিয়েছিল এফডিএ। গর্ভাবস্থার ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত এই ওষুধ ব্যবহার করা যায়। এর পরে গর্ভপাত অন্য পদ্ধতিতে করতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy