Advertisement
E-Paper

চিনাদের সঙ্গে প্রেম করা যাবে না! বেজিংয়ে নিযুক্ত কূটনীতিকদের নির্দেশ মার্কিন প্রশাসনের

চিনে নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিকেরা সে দেশের কোনও নাগরিকের সঙ্গে প্রেম করতে পারবেন না। আমেরিকার সরকারের এমনই এক সিদ্ধান্তের কথা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে।

চিনে নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিকদের জন্য নয়া নিয়ম জারি।

চিনে নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিকদের জন্য নয়া নিয়ম জারি। — প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১০
Share
Save

চিনে নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিকেরা কোনও চিনা নাগরিকের সঙ্গে প্রেম করতে পারবেন না। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকার প্রশাসন। শুধু মার্কিন কূটনীতিকেরাই নন, তাঁদের পরিবারের সদস্যও কোনও চিনা নাগরিকের সঙ্গে প্রেম করতে পারবেন না। একই কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে সে দেশে কাজের জন্য ছাড়পত্র পাওয়া ঠিকাদারদের ক্ষেত্রেও।

সংবাদ সংস্থা ‘এপি’ সূত্রে খবর, গত জানুয়ারি মাসেই এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে ওয়াকিবহাল চারটি সূত্রের সঙ্গে কথা বলে এপি জানিয়েছে, প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নস চিন ছাড়ার কিছু দিন আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চিনে নিযুক্ত মার্কিন আধিকারিকদের নয়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যে কোনও চিনা নাগরিকের সঙ্গে প্রেম করছেন, তাঁরা সিদ্ধান্ত থেকে ছাড় পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাতে পারেন। তবে তাতে কর্তৃপক্ষের সম্মতি না-মিললে হয় সম্পর্ক ভাঙতে হবে কিংবা পদ ছাড়তে হবে। এপি জানিয়েছে, কেউ এই নিয়ম ভাঙলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চিন থেকে ফিরিয়ে আনা হবে।

আমেরিকার কিছু কিছু সংস্থায় কর্মরত আধিকারিকদের প্রেমের ক্ষেত্রে এই ধরনের কড়াকড়ি আগেও ছিল। তবে চিনে কর্মরত সব আধিকারিকের জন্য এই ধরনের নীতি সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। বস্তুত, আমেরিকার কূটনীতিকদের অন্য দেশে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রেম অতীতেও বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা বিয়ে করেছেন এমন নজিরও রয়েছে।

গত বছর থেকেই এই বিষয়ে কড়াকড়ির উদ্যোগ শুরু করে মার্কিন প্রশাসন। এপি জানিয়েছে, গত বছরেও এই ধরনের একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সেটি এতটা কড়া ছিল না। তখন বলা হয়েছিল, মার্কিন দূতাবাস এবং অন্য কূটনৈতিক দফতরগুলিতে কোনও চিনা কর্মীর সঙ্গে প্রেম করতে পারবেন না আমেরিকার আধিকারিকেরা। এ বার সেই নিয়মে আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে।

ঘটনাচক্রে, এই সিদ্ধান্তের কথা এমন সময়ে প্রকাশ্যে এসেছে যখন চিনের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে। আমেরিকার নতুন শুল্কনীতিকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন এবং বেজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের দফতর থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। ওই রিপোর্টে আমেরিকার জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক হুমকি হিসাবে চিনকেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

US China Conflict USA China

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}