লন্ডন থেকে মুম্বই আসছিল ভার্জিন আটলান্টিকা নামক একটি সংস্থার বিমান। তাতে ছিলেন ২০০ জনের বেশি ভারতীয়। মাঝ আকাশে এক যাত্রী আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করাতে হয় তুরস্কের এক বিমানবন্দরে। তার পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, এখনও সেই বিমানটিকে তুরস্ক বিমানবন্দর থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা করানো সম্ভব হয়নি! এক যাত্রীর দাবি, ১৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, এখনও তাঁরা ওই বিমানবন্দরে আটকে আছেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরি অবতরণের সময় বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। শুধু তা-ই নয়, তুরস্কের যে বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণ করানো হয়, সেখানে বিমান পরিচালনা করার মতো উপযুক্ত পরিবেশ নেই। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এক যাত্রী বলেন, ‘‘প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে এই বিমানবন্দরে আটকে রয়েছি। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। যে টার্মিনালে আমরা রয়েছি, সেখানে পর্যাপ্ত জল, খাবার নেই। বিশ্রাম নেওয়ার জায়গার অভাব। ছোট বাচ্চা, মহিলা এবং বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন। তাঁরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’’
তবে আটকে থাকা যাত্রীদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী মহারাষ্ট্র সরকারও। এক যাত্রী সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য এক জন নোডাল অফিসারও নিয়োগ করেছে।
এ ভাবে বিমানবন্দরে আটকে থাকার ঘটনা নতুন নয়। গত বছর ডিসেম্বরে প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে তুরস্কের ইস্তানবুল বিমানবন্দরে আটকে ছিলেন ৪০০-এর বেশি ভারতীয়। সমালোচনার মুখে পড়ে যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেয় ‘ইন্ডিগো’। তবে কী কারণে বিমান ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি তাদের তরফে।