আফ্রিকায় আমেরিকার দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন নিহত মাসরি। ছবি: রয়টার্স।
ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা ‘মোসাদ’-এর গোপন অভিযানে নিহত হয়েছেন আল কায়দার প্রথম সারির নেতা আবু মহম্মদ আল-মাসরি ওরফে আবদুল্লা আহমেদ আবদুল্লা। গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে এমনটাই দাবি আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের।
প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত অগস্টে ইরানে গোপন অভিযানে মাসরিকে মেরেছে ইজরায়েলি গুপ্তচর বাহিনী। ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তায় গাড়িতে যাওয়ার সময় দুই ঘাতক মোটরবাইকে এসে গুলি করে মারে মাসরি এবং তাঁর মেয়েকে। মাসরির মেয়ে ছিলেন নিহত আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের স্ত্রী।
চলতি বছর পাক-আফগান সীমান্তে সন্ত্রাস দমন অভিযানের সময় হামজাকে হত্যা করেছিল আমেরিকার সেনা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু ইরানে মাসরি হত্যা অভিযান গোপন রাখে ইজরায়েল। নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছে আমেরিকার এক গোয়েন্দা আধিকারিক অবশ্য মাসরি হত্যার কথা জানিয়ে দিয়েছেন ১৯৯৮ সালে আফ্রিকায় আমেরিকার দূতাবাসে হামলা-সহ নানা সন্ত্রাসে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল মাসরির বিরুদ্ধে।
আল কায়দার বর্তমান প্রধান আয়মন আল-জাওয়াহিরির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে পরিচিত ছিলেন মাসরি। তাঁর মৃত্যু আল কায়দার কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে আমেরিকার সন্ত্রাস দমন সংস্থাগুলি। জাওয়াহিরির মতোই মাসরিও ছিলেন মিশরের নাগরিক। ২০০৩ সালে ইরান সরকার নজরবন্দি করেছিল মাসরিকে। ২০১৫ সালে তিনি ছাড়া পান। তার পর থেকে তিনি তেহরানের শহরতলি এলাকায় থাকতেন বলে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি। ইরান সরকারের তরফে অবশ্য মাসরি হত্যার খবর অস্বীকার করে বলা হয়েছে, ‘আমাদের মাটিতে কোনও বিদেশি সন্ত্রাসবাদী আশ্রয় পায় না।’’
আরও পড়ুন: ‘সময়ই শেষ কথা বলবে’, এখনও হার না মেনে হেঁয়ালি ট্রাম্পের
জাওয়াহিরির উত্তরসূরির নিধনের পিছনে আমেরিকার সন্ত্রাস দমন সংস্থাগুলির ‘ভূমিকা’ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশে আল কায়দার গোপন ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে সংগঠনের আরেক মিশরীয় নেতা আবু মুহাসিন আল-মাসরিকে হত্যা করেছিল আফগান-আমেরিকা যৌথ বাহিনী। গত বছর আফগানিস্তানে যৌথ বাহিনীর অপারেশনে মারা পড়েছিল, ‘আল কায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট’ (একিউআইএস)-এর প্রধান আসিম উমর।
আরও পড়ুন: রাওলিংয়ের হ্যারি পটার উপন্যাসের সলাজারের সাপ মিলল অরুণাচলে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy