নির্বাচনী বক্তৃতায় কমলা হ্যারিস। ছবি: রয়টার্স।
ইতিহাস বারে বারেই ছুঁয়ে যায় বর্তমানকে। সময় এবং চরিত্র বদলে যায় বটে, কিন্তু বদল হয় না প্রসঙ্গের। কালো মানুষদের অধিকারের দাবিতে এক সময় আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল আমেরিকা। সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন যাঁরা, তাঁদেরই ফেলে যাওয়া ব্যাটনটা সাড়ে ৬ দশক পর নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন কমলা হ্যারিস, আমেরিকার প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাঁর ধমনীতে মিশেছে তিন মহাদেশ— আফ্রিকা, আমেরিকা এবং এশিয়া। অতিমারির সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশে ঘটে যাওয়া নির্বাচনে এ-ও এক নীরব বিপ্লব।
সময়টা ১৯৫৫ সালের ডিসেম্বর মাস। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় কাঁপছে আমেরিকা। কিন্তু ডিসেম্বরের প্রথম দিনই আলাবামার মন্টগোমারির একটি ঘটনাকে ঘিরে ওই শীতেও উত্তপ্ত হয়ে উঠল আমেরিকা। ওই দিন মন্টগোমারির একটি বাসে উঠেছিলেন রোজা পার্কস নামে জনৈক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা। বাসে শ্বেতাঙ্গ যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ খালি আসনে বসে পড়েন তিনি। কিন্তু বাসচালক দাঁড়িয়ে থাকা এক শ্বেতাঙ্গকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ‘নির্দেশ’ দেন রোজাকে। কিন্তু অনড় রোজা সেই নির্দেশ পালন করেননি। বরং রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।
সে সময় আলাবামায় শ্বেতাঙ্গদের সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট আইন ছিল, যার ফলে গণপরিবহণেও বর্ণবৈষম্য-জাতিবিদ্বেষের শিকার হতেন কৃষ্ণাঙ্গরা। সেই আইনের জোরেই সে দিন গ্রেফতার করা হয়েছিল রোজাকে। সেটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আমেরিকার ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন’ (সিভিল রাইটস মুভমেন্ট)-এর একটা মোড়। এর পর ‘হাত থেকে হাতে, বুক থেকে বুকে’ গোপনে পাচার হতে শুরু করে অধিকার বুঝে নেওয়ার সেই আন্দোলনের ‘নিষিদ্ধ ইস্তাহার’।
বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস এবং মা শ্যামলা গোপালনের সঙ্গে কমলা। ছবি: কমলা হ্যারিসের টুইটার থেকে।
জাম্পকাট টু ২০২০…
এর মাঝে গত ৬৫ বছরে মিসিসিপি দিয়ে জল গড়িয়েছে অনেক। পল রোবসনের সুর মিশে গিয়েছে আমেরিকার আফ্রো-আমেরিকানদের যৌবন জলতরঙ্গে। কিন্তু এত ধাক্কা সত্ত্বেও আমেরিকান সমাজের সাদা-কালো বর্ণবিদ্বেষের বুনিয়াদটা কখনই পুরোপুরি টলে যায়নি। গত ২৫ মে মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসে দিনের আলোয় হাঁটু দিয়ে গলা টিপে ধরে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করেছিল আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের এক বার ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। আবার দেওয়াল ভাঙার চলমান লড়াই শুরু হয় মিনিয়াপোলিস থেকে ওয়াশিংটনে। কখনও বা রোষের আঁচ আছড়ে পড়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের শক্ত ভিতেও। বাঙ্কারে ঢুকে সাময়িক ভাবে সেই আঁচ থেকে বেঁচে যান ট্রাম্প। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। দেশ জুড়ে এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই কমলাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করেছিলেন ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন। যে কমলার উঠে আসার সেই কাহিনির পরতে পরতে জড়িয়ে সাড়ে ৬ দশক আগের বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাস।
বাইডেনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ব রাজনীতিতে কমলাকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়। নিজের বক্তৃতায় ট্রাম্পকে নিশানা করে কমলা বলেন, ‘‘আমাদের দুঃখকে উনি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। জো ক্ষমতায় এলে আমাদের সকলকে একত্রে বেঁধে রাখবেন।’’ ট্রাম্পের প্রশাসনকে বিঁধে কমলা আরও বলেন, ‘‘জাতিবিদ্বেষের কোনও প্রতিষেধক হয় না।’’ এ বারের নির্বাচন এশীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই প্রসঙ্গও নিজের বক্তৃতায় বার বার তোলেন কমলা। স্পষ্ট বলেন, ‘‘এখন তো আমাদের তিনটে জিনিসের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। অতিমারি, অর্থনীতি আর জাতিবিদ্বেষ।’’
ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার পর কমলা হ্যারিস। ছবি: এএফপি।
ব্যাক টু ১৯৬২…
বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনের যে মশাল জ্বেলে দিয়েছিলেন রোজা তা তখনও জ্বলছে। সেই সময়েই মুক্তি পেল কৃষ্ণাঙ্গ গায়িকা ওডেটা হোমসের ‘ফ্রিডম ট্রিলজি’ অ্যালবাম। নাগরিক আন্দোলন অধিকারের স্লোগানের সঙ্গে মিলে গেল ওডেটার গান, ‘ওহ ফ্রিডম ওভার মি, অ্যান্ড বিফোর আই উড বি এ স্লেভ, আই উড বি বারিড ইন মাই গ্রেভ।’ (আমার স্বাধীনতা আসুক, ক্রীতদাস হওয়ার আগে স্বাধীনতা আসুক, কবরে যাওয়ার আগে স্বাধীনতা আসুক।)
ঠিক ওই বছরই বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লম্বা, রোগা এবং কালো পিএইচডি ছাত্রের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে ভারতীয় এক ছাত্রীর। দু’জনেই আসছেন দু’টি ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে। পুরুষটি জামাইকার বাসিন্দা এবং মহিলাটি ভারতীয়। ঔপনিবেশিকতার সূত্র গেঁথে দিল দু’জনের ধ্যানধারণা-ভাবনাকে। জামাইকার বাসিন্দা ডোনাল্ড হ্যারিস বক্তৃতা করতেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বোঝাতেন, ঔপনিবেশিক শক্তি কী ভাবে বিভাজন তৈরি করে এবং শাসন করে। সমাজে চরম বৈষম্যকে ঢাকা দিতে তারা কী ভাবে ‘নেটিভ অভিজাত সম্প্রদায়’ তৈরি করে আর্থ-সামাজিক বিভাজন তীব্র করে দেয় সেই কৌশল তখনই ধরতে পেরে গিয়েছিলেন হ্যারিস। বক্তৃতায় সে কথা বলতেনও। তাঁর কথা শুনতে ভালবাসতেন সেই ভারতীয় তরুণী, নাম শ্যামলা গোপালন।
ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে পড়াশোনার জন্য ব্রিটেনে পাড়ি দেওয়াই এক সময় রেওয়াজ হয়ে উঠেছিল পড়ুয়াদের মধ্যে। কিন্তু হ্যারিস এবং শ্যামলা দু’জনের ক্ষেত্রেই সেই প্রথা ভাঙার সমাপতন ঘটেছিল। কম বয়েসে আমেরিকার নৌঘাঁটি গুয়ান্তানামো থেকে সম্প্রচারিত জ্যাজ মিউজিকের ভক্ত হয়ে উঠেছিলেন হ্যারিস। টেনেসির ন্যাশভিল থেকে সম্প্রচারিত ব্লুজ-ও টানত তাঁকে। ফলে শিক্ষা, সংস্কৃতি, আন্দোলন এ সবের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র আমেরিকার প্রতি বরাবরই টান ছিল হ্যারিসের। জামাইকা থেকে স্কলারশিপ পাওয়ার পর, পড়তে যাওয়ার জন্য তাই হ্যারিসের প্রথম পছন্দ ছিল আমেরিকা। সে দিনের কথা এখনও মনে আছে হ্যারিসের। স্মৃতিতে টান দিয়েই তিনি বলছেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পর্কে আরও খোঁজখবর নেওয়ার পর আমি নিশ্চিত হই যে ওখানেই আমি যাব।’’ ৮ হাজার মাইল দূরে থাকা শ্যামলাও সে দিন সেই একই কথা ভেবেছিলেন। তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান শ্যামলা। লেডি আরউইন কলেজের ছাত্রী ছিলেন তিনি। তাঁর ইচ্ছা ছিল বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়াশোনা করার। কিন্তু হোম সায়েন্স নিয়ে পড়তে বাধ্য হন তিনি। সেই শ্যামলাও পা বাড়িয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে।
পরিবারের সঙ্গে কমলা এবং মায়া দুই বোন। ছবি: কমলা হ্যারিসের টুইটার থেকে।
১৯৬০-এর সেই সময়টা যেন গোটা বিশ্ব জুড়েই শেকল ভাঙার গান। একটু একটু ভেঙে পড়ছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দেওয়াল। আফ্রিকার ১৭টি দেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল ওই সময়ে। সে বার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে শেষ বারের মতো আমেরিকায় পা দিয়েছিলেন কিউবার বিপ্লবী নায়ক ফিদেল কাস্ত্রো। সেখানে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের নিকিতা ক্রুশ্চেভের সঙ্গে। কাস্ত্রো হাত মিলিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে। কিউবার বিপ্লবকে সমর্থন জানিয়েছিলেন কঙ্গোর অবিসংবাদী নেতা প্যাট্রিস লুলুম্বা। সব মিলিয়ে সব স্রোত যেন মিশে গিয়েছিল মুক্তির এক ধারায়। সেই স্রোতে আরও বেগবান হয়ে উঠেছিল আমেরিকার নাগরিক অধিকার আন্দোলন। তাতে যোগ দিলেন হ্যারিস এবং শ্যামলাও।
স্টাডি গ্রুপ থেকে বিক্ষোভ-আন্দোলনের ময়দান। একই লড়াইয়ের সাথী হ্যারিস এবং শ্যামলা। কোনও এক হেমন্তে সাথী থেকে চিরসাথী হওয়ার অঙ্গীকারে বদলে গেল দু’জনের সম্পর্কটাও। বিয়ে করলেন হ্যারিস এবং শ্যামলা। ১৯৬৪ সালে জন্ম নেন তাঁদের প্রথম সন্তান কমলা। তাঁর বোন মায়া লক্ষ্মী। ২০০৯ সালে প্রয়াত হয়েছেন শ্যামলা। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে প্রথম প্রেমের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি এখানে থাকতে আসিনি। এটা অনেক পুরনো ঘটনা। আমি ওই ছেলেটির প্রেমে পড়েছিলাম। আমরা বিয়ে করেছিলাম এবং খুব তাড়াতাড়ি আমাদের সন্তান হয়েছিল।’’
মায়ের সঙ্গে কমলা এবং মায়া। ছবি: কমলা হ্যারিসের টুইটার থেকে।
হ্যারিস এবং শ্যামলার বিয়ে শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভেঙে গিয়েছিল। কমলার বয়স যখন ৭ তখন বিচ্ছেদ হয়ে যায় দু’জনের। তত দিনে হ্যারিস অর্থনীতির অধ্যাপক। অন্য দিকে পুষ্টিবিদ্যা এবং এন্ডোক্রিনোলজি নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করে ফেলেছেন শ্যামলা। বার্কলে ডিপার্টমেন্ট অব জুওলজিতে স্তন ক্যানসার নিয়ে গবেষণাও করছেন। কিন্তু প্রথম প্রেম ভেঙে যাওয়ার ক্ষত সারাজীবনেও সারিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। মধুর প্রেম বদলে গিয়েছিল তিক্ততায়। তবে লড়াই থামাননি। বিচ্ছেদের পরেও মেয়েদের নিয়ে পথে নেমেছেন, স্লোগান দিয়েছেন।
কমলার লড়াই, উত্থান, জীবনযাত্রা সব কিছুতেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছেন তাঁর মা। প্রভাব ফেলেছিলেন তাঁর স্বাধীনতা সংগ্রামী দাদু পি ভি গোপালনও। ছোটবেলা থেকে অ্যাফ্রো-আমেরিকান সংস্কৃতিতেই বেড়ে উঠেছেন কমলা। তার সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতির মিশেল। আত্মজীবনী ‘দ্য ট্রুথস উই হোল্ড’ –এ কমলা লিখেছিলেন, ‘‘আমার মা খুব ভাল করে জানতেন, তিনি দু’জন কৃষ্ণাঙ্গ কন্যাসন্তানকে বড় করে তুলছেন। জানতেন, তাঁর নতুন দেশ মায়া (বোন) আর আমাকে কৃষ্ণাঙ্গ মেয়ে হিসেবেই দেখবে। মা ঠিক করেছিলেন, মেয়েদের আত্মবিশ্বাসী গর্বিত কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক হিসেবেই বড় করে তুলবেন।’’
আইনের ছাত্রী ছিলেন কমলা। হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বাবা-মায়ের স্মৃতি বিজড়িত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। ২০০৩ সালে তিনি সান ফ্রান্সিসকোর অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০১০ সালে কমলা ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হন। প্রথম অ্যাফ্রো-আমেরিকান এবং দক্ষিণ পূর্ব এশীয় বংশোদ্ভূত হিসাবে ওই পদ পান তিনি। ২০১৬ সালে অবশ্য প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ মহিলা সেনেটর হিসাবে ক্যালিফোর্নিয়া থেকেই নির্বাচিত হন কমলা। এ বার তিনি হোয়াইট হাউসে, আমেরিকার সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সুইচটা এখন তাঁরই হাতে।
ছাত্রী অবস্থায় কমলা।হ্যারিস। ছবি: কমলা হ্যারিসের টুইটার থেকে।
বাবা-মায়ের সঙ্গে জীবনের প্রথম ধাপটা মিলে গিয়েছে কমলার। আমেরিকার রাজনীতিতে তাঁর উত্থানও বর্ণবিদ্বেষের প্রতিবাদের অক্ষর ধরেই। ভোটের কিছু দিন আগে ফ্লয়েডের হত্যা সে দেশে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ঠিক সেই সময়েই ট্রাম্প বিরোধিতার সুর চড়াতে থাকেন কমলা। শুধু তাই নয়, মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল তোলা বা অবৈধ অভিবাসী শিশুদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করে খাঁচায় আটকে রাখা— ট্রাম্প প্রশাসনের একের পর এক ‘খেয়ালি’ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনাও করেন কমলা।
এক সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়েও ছিলেন কমলা। সে সময় বিতর্কে বাইডেনের বিভিন্ন নীতির সমালোচনাও করেন তিনি। সরব হন সেনেটেও। কিন্তু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে সেই কমলাকেই সঙ্গী করেছেন বাইডেন। লক্ষ্য ছিল অ্যাফ্রো-আমেরিকান এবং আমেরিকাবাসী ভারতীয়দের সমর্থন পাওয়া। সেই কৌশলে সফল বাইডেন। হ্যারিসকে মনোনীত করার পর বাইডেন বলেছিলেন, “আমরা দু’জনে মিলে এ বার ট্রাম্পকে কড়া টক্কর দেব।” বাস্তবে সেই টক্করে চূর্ণ হয়ে গিয়েছে রিপাবলিকদের একাধিক দুর্গ। সেই সত্যের উপর দাঁড়িয়েই এ বার সামনের দিকে তাকাবে বহু জনজাতি বিশিষ্ট আমেরিকা।
ছোটবেলায় দাদুর হাত ধরে সমুদ্রসৈকতে সকাল বিকেল হাঁটা পছন্দ ছিল কমলার। এ বার তাঁর হাত ধরেই নতুন সূর্যোদয়ের স্বপ্ন দেখছেন অ্যাফ্রো-আমেরিকানরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy