Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষা
US Presidential Election

৬ শতাংশ ভোটে এগিয়ে কমলা

সমীক্ষার ফল বলছে, হ্যারিসের ঝুলিতে গিয়েছে ৫২ শতাংশ ভোট, আর ট্রাম্প পাচ্ছেন ৪৬ শতাংশ ভোট। ২ শতাংশ ভোটার এখন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

কমলা হ্যারিস।

কমলা হ্যারিস। ছবি রয়টার্স।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৭
Share: Save:

আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে এখন ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসকেই এগিয়ে রাখছেন ভোটারেরা। এমনই ইঙ্গিত একটি সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষায়।

অন্য দিকে, আজ ফের ট্রাম্পের উপরে হামলার চেষ্টা হল কি না, সেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, ফ্লরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল গল্ফ ক্লাবে ট্রাম্প গল্ফ খেলার সময় আশেপাশে কোথাও গুলি চলে। পাল্টা গুলি চালায় ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসও। তবে ট্রাম্প অক্ষত রয়েছেন, জানিয়েছেন তাঁর প্রচার মুখপাত্র। কাছের ঝোপ থেকে একটি একে-৪৭ উদ্ধার হওয়ার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্পের ছেলে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর রিপাবলিকান দলের প্রার্থী তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বার বিতর্কসভায় অংশ নেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। সেই বিতর্কের পরে প্রথম জনমত সমীক্ষার ফলাফল সামনে এসেছে। ১১ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর অনলাইনে এই সমীক্ষা
করা হয়েছিল।

এই সমীক্ষার ফল বলছে, হ্যারিসের ঝুলিতে গিয়েছে ৫২ শতাংশ ভোট, আর ট্রাম্প পাচ্ছেন ৪৬ শতাংশ ভোট। ২ শতাংশ ভোটার এখন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। প্রসঙ্গত, বিতর্কের ঠিক আগে, অগস্টের শেষে করা একটি সমীক্ষার ফলাফল ঠিক এই রকমই ছিল। যার থেকে দু’টি জিনিস স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রথম, বিতর্কে হ্যারিস ট্রাম্পের থেকে দৃশ্যত ভাল ‘পারফর্ম’ করলেও জনমানসে তার বিশেষ প্রভাব পড়েনি। দু’জনের মধ্যে ভোটের ব্যবধান একই আছে (৬ শতাংশ)। আর একটি জিনিসও এই জনমত সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট। তা হল, ট্রাম্প যদিও বিতর্কের পরে সমানে দাবি করে চলেছেন যে, বিতর্কসভায় তিনি-ই মাত করে দিয়েছেন, জনমত সমীক্ষা কিন্তু তাঁর সেই দাবিকে
মান্যতা দিচ্ছে না।

ভোটারদের মধ্যে যাঁরা রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট, কোনও দলেরই রেজিস্টার্ড ভোটার নন, তাঁদের পাল্লা হ্যারিসের দিকেই ভারী। তাঁদের কাছ থেকে হ্যারিস পেয়েছেন ৫৩ শতাংশ ভোট, আর ট্রাম্প ৪৪ শতাংশ। মেয়েদের বেশি ভোট গিয়েছে হ্যারিসের দিকে। তিনি পেয়েছেন ৫৫ শতাংশ ভোট, আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোট। পুরুষ ভোটারদের ক্ষেত্রে দু’জনেই পেয়েছেন ৪৯
শতাংশ ভোট।

কমবয়সি ভোটারদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, হ্যারিসের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। ত্রিশের নীচে বয়স যে ভোটদাতাদের, তাঁদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ হ্যারিসকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। অন্য দিকে, ত্রিশের থেকে কমবয়সি ভোটারদের মধ্যে শুধু ৪০ শতাংশ ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছেন। এই ফারাকটা আরও বেড়ে যায় কমবয়সি মহিলা ভোটারদের ক্ষেত্রে। ত্রিশের নীচে ৬৮ শতাংশ মহিলা ভোটার হ্যারিসকে বেছে নিয়েছেন, আর ট্রাম্প পাচ্ছেন মাত্র ৩০ শতাংশ তরুণীর ভোট। এই বিশেষ ক্ষেত্রে ট্রাম্প ও হ্যারিসের প্রাপ্ত ভোটের ফারাক বিশাল— ৩৮ শতাংশ। ত্রিশের নীচে পুরুষ ভোটারদের মধ্যে হ্যারিসের জনপ্রিয়তা বেশি হলেও এ ক্ষেত্রে ভোটের ফারাক অনেক কম— ৩ শতাংশ। ত্রিশের নীচে ৫১ শতাংশ পুরুয হ্যারিসকে ভোট দিয়েছেন, আর ৪৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন ট্রাম্পকে।

বিষয়গত দিক থেকে ট্রাম্প ও হ্যারিস, দু’জনেই ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ৪৬ শতাংশ ভরসা করেছেন ট্রাম্পের উপরে, আর হ্যারিসের উপরে ভরসা ৩৯ শতাংশের। বেআইনি অভিবাসন সমস্যার মোকাবিলার ক্ষেত্রেও কমলার (৩৭ শতাংশ) তুলনায় ট্রাম্পের
(৪৭ শতাংশ) উপরে ভোটদাতাদের ভরসা বেশি। ৪৮ শতাংশ
ভোটার মনে করেন যে, মেয়েদের গর্ভপাতের অধিকার ফিরিয়ে
আনবেন হ্যারিস, আর ৪৫ শতাংশ মনে করেন দেশে গণতন্ত্র রক্ষার ক্ষেত্রে ট্রাম্প নন, হ্যারিসই অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Kamala Harris Donald Trump
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE