গর্ভপাতের পক্ষে রায়। প্রতীকী ছবি।
আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে এ বারের নির্বাচনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল গর্ভপাতের অধিকার। দশটি প্রদেশে মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে রায় দিয়েছেন বাসিন্দারা। গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট পেয়ে সাতটি প্রদেশে জয় এসেছে। ২০২২ সালের পরে সব মিলিয়ে ১৩টি প্রদেশে গর্ভপাতের অধিকার স্বীকৃতি পেল।
২০২২ সালে রো ভার্সেস ওয়েড রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করেছিল আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত এ দেশের নাগরিক সমাজ। রাজনৈতিক দলগুলিও এ বিষয় নানা মত পোষণ করে। ডেমোক্র্যাট দল ও তাদের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এ বারের ভোটে গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। আবার ভাবী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত গর্ভপাতের বিরুদ্ধে তাঁর মতামত স্পষ্ট করেছেন। তবে বিভিন্ন প্রদেশের ভোটচিত্র বলছে, বিষয়টি এতটাই জোরদার যে রিপাবলিকানদের দখলে আসা একাধিক প্রদেশের বাসিন্দারা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে জেতালেও স্থানীয় স্তরে গর্ভপাতের অধিকার রক্ষার পক্ষেই রায় দিয়েছেন।
এই ১০টি প্রদেশের মধ্যে যে তিনটিতে গর্ভপাতের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন মানুষ সেগুলি হল ফ্লরিডা, সাউথ ডাকোটা ও নেব্রাস্কা। দেশের তৃতীয় জনবহুল প্রদেশ ফ্লরিডায় গর্ভপাতকে আইনসিদ্ধ করতে গেলে ৬০% ভোট প্রয়োজন ছিল। সেখানে গর্ভপাতের পক্ষে ৫৭ শতাংশের ভোট পড়েছে। ফ্লরিডার প্রার্থী ট্রাম্প নিজেও বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। বর্তমানে (মে মাস থেকে) ফ্লরিডায় ছ’সপ্তাহের পরে গর্ভপাত নিষিদ্ধ।
যে সাতটি প্রদেশে গর্ভপাতের পক্ষে জনাদেশ গিয়েছে সেগুলি হল অ্যারিজ়োনা, মিসৌরি, নেভাডা, মন্টানা, কলোরাডো, নিউ ইয়র্ক এবং মেরিল্যান্ড। নিউ ইয়র্ক, মেরিল্যান্ডের মতো ডেমোক্র্যাট ঘাঁটির পাশাপাশি মন্টানা, মিসৌরি, অ্যারিজ়োনার মতো রিপাবলিকান অধ্যুষিত প্রদেশগুলিতেও গর্ভপাতের পক্ষেই রায় দিয়েছেন মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy