গণ হারে কর্মীছাঁটাই শুরু হয়েছে আমেরিকায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন। রাখঢাক করেননি ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম কর্তা ইলন মাস্কও। তবে ট্রাম্পদের এই গণছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা আপাতত রুখে দিল আমেরিকার আদালত। অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট দফতরকে ছাঁটাইয়ের নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বলেছেন সান ফ্রান্সিসকোর এক ফেডারেল বিচারক। তিনি জানিয়েছেন, এ ভাবে কর্মীদের ছাঁটাইয়ের অধিকার নেই সংশ্লিষ্ট দফতরের। এ ভাবে কর্মীদের ছাঁটাই করা যায় না।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের কর্মী ব্যবস্থাপনা দফতর থেকে আমেরিকার সমস্ত সরকারি কর্মীর কাছে ইমেল গিয়েছিল। তাতে বলা হয়, এক সপ্তাহের কাজের হিসাব দু’দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে কর্মীদের। তা করতে না-পারলে ওই কর্মী ইস্তফা দিয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হবে। ট্রাম্পের দফতরের এই নির্দেশ নিয়ে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছিল আমেরিকার হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীর মধ্যে। চাকরি নিয়ে তাঁরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। কর্মী ব্যবস্থাপনা দফতরের ইমেল পাওয়ার পর আমেরিকার বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রধানেরাই কর্মীদের জানান, আপাতত ওই ইমেলের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এর পর জানা যায়, আমেরিকার বিভিন্ন দফতর থেকে কয়েক হাজার শিক্ষানবিশ কর্মীকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত কর্মী চাকরির প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষে আছেন, তাঁরাই আমেরিকায় শিক্ষানবিশ হিসাবে বিবেচিত হন।
আরও পড়ুন:
আদালত জানায়, হোয়াইট হাউসের কর্মী ব্যবস্থাপনা দফতরের কোনও অধিকারই নেই কর্মীদের ছাঁটাই করার। তারা যেমন কর্মীদের নিয়োগও করতে পারে না, বরখাস্তও করতে পারে না। বিচারক উইলিয়াম অ্যালসুপের বক্তব্য, ‘‘আমেরিকার সরকারি কর্মীদের নিয়োগ এবং ছাঁটাইয়ের অধিকার রয়েছে কেবল সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধানদের। আমেরিকার কংগ্রেস এই অধিকার কেবল দফতরগুলির হাতেই সীমাবদ্ধ রেখেছে।’’
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জানিয়েছেন, ফেডারেলে কর্মীসংখ্যা তিনি কমাতে চান। তাতে আমেরিকা সরকারের বাড়তি খরচ কমবে। মাস্ক এই কাজে ট্রাম্পের সহায়ক এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরামর্শদাতার ভূমিকাও পালন করেছেন। ট্রাম্প নিজের সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যেই মাস্ককে কর্মীছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। জানিয়েছেন, কর্মীদের বিষয়ে আরও কঠোর হতে হবে সরকারকে। কিন্তু ট্রাম্পের কর্মীছাঁটাইয়ের নির্দেশ আপাতত প্রত্যাহার করে নিতে বলল আদালত।