Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

তল্পি গোটাচ্ছেন ‘ওবামার দূতরা’

আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নিচ্ছেন আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই তল্পিতল্পা গোটাচ্ছেন হবে ভারত, ব্রিটেন-সহ বেশ কয়েকটি দেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের।

রিচার্ড বর্মা

রিচার্ড বর্মা

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:১১
Share: Save:

আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নিচ্ছেন আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই তল্পিতল্পা গোটাতে হবে ভারত, ব্রিটেন-সহ বেশ কয়েকটি দেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের। কারণ, ২০ জানুয়ারির পরে আর তাঁদের রাষ্ট্রদূতের পদে থাকতে দিতে রাজি নন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূতের পদে নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ করতেই পারেন। প্রশাসন বদলালে সেই রাষ্ট্রদূতদের ইস্তফা দেওয়াও রীতির মধ্যেই পড়ে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সব নতুন প্রশাসনই দায়িত্বগ্রহণের পরে এই রাষ্ট্রদূতদের কয়েক সপ্তাহ বা মাস তাঁদের পদে থাকার অনুমতি দিয়ে এসেছে। মার্কিন কূটনীতিকদের মতে, এর কারণ দু’টি। প্রথমত, নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করতে সময় লাগে। তার আগে পুরনো দূতের মাধ্যমেই সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সঙ্গে য‌োগাযোগ রাখতে চায় ওয়াশিংটন। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রদূতদের ছেলেমেয়ে অনেক সময়ে সংশ্লিষ্ট দেশের স্কুলে ভর্তি হয়। তাঁদের স্ত্রীরাও দেশে চাকরিতে নিযুক্ত হন। তাই পারিবারিক কারণেও সৌজন্যের খাতিরে কিছু দিন ছাড় দেওয়া হয়।

কিন্তু এই প্রথা ভেঙে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সহযোগীরা জানিয়ে দিয়েছেন, ২০ জানুয়ারির পরে কোনও রাষ্ট্রদূতের পদে ওবামার পছন্দের ব্যক্তিকে বরদাস্ত করা হবে না। ফলে দ্রুত তল্পিতল্পা গোটাচ্ছেন ওই রাষ্ট্রদূতরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন দূত রিচার্ড বর্মাও। তবে ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খাতিরে ইস্তফা দেওয়ার পরেও তাঁকে কয়েক মাস দিল্লিতে থাকতে হতে পারে বলে দূতাবাস সূত্রে খবর।

পেশায় আইনজীবী রিচার্ডই ভারতে রাষ্ট্রদূতের পদে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন। তার আগে বিদেশ দফতরে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। মার্কিন কংগ্রেসে ভারতের সঙ্গে সে দেশের পরমাণু চুক্তি অনুমোদিত হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন।

বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা জানাচ্ছেন, প্রাক্তন ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে নিয়ে ইউপিএ জমানার শেষ দিকে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার ছ’মাসের মধ্যে নয়া রাষ্ট্রদূত হয়ে আসেন রিচার্ড। তাঁর আমলে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বিশেষ উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-চিন-পাকিস্তান টানাপড়েনের মধ্যে ওয়াশিংটনের দূতের কাজটি তিনি ঠিক ভাবেই করতে পেরেছেন বলেই ধারণা সাউথ ব্লকের ।

বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তা জানাচ্ছেন, ১৯৭৪-এ জালন্ধরের কাছে একটি গ্রাম থেকে আমেরিকায় যান রিচার্ডের বাবা-মা। দিল্লিতে আসার পরে অনেক বার সেখানে যান তিনি। সম্প্রতি যান বেলুড় মঠেও। ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, ট্রাম্প ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সঙ্গে দিল্লির তেমন ঘনিষ্ঠতা নেই। ফলে নয়া রাষ্ট্রদূত কে হবেন তা নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

US Ambassadors Richard verma
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy