অনশনরত তিন ভারতীয়কে জোর করে স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করল মার্কিন প্রশাসন। হিউস্টনের টেক্সাসের ঘটনা।
আমেরিকায় আশ্রয় পাওয়ার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। আবেদন গ্রাহ্য না হওয়ায় তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ফের অভিবাসন দফতরের কাছে আবেদন করেন ওই তিন জন। সেই আর্জির শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’-এর ডিটেনশন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে তাঁদের। কিন্তু শুনানির আগে যাতে তাঁদের মুক্ত রাখা হয়, আইনজীবীর মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসনের কাছে সেই আর্জি জানিয়েছিলেন ওই তিন ভারতীয়। কিন্তু তাঁদের সেই আর্জি শোনা হয়নি। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ৯ জুলাই থেকে অনশন শুরু করেন তাঁরা। ওই ভারতীয়দের আইনজীবী লিন্ডা করকাডোর অভিযোগ, অনশন ভাঙাতে গত কাল থেকে জোর করে ড্রিপ দেওয়া হচ্ছে তাঁর মক্কেলদের।
ওই তিন ভারতীয়ের নাম প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু লিন্ডা জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলদের এক জন টানা এক বছর এবং বাকি দু’জন গত কয়েক মাস টেক্সাসের এল পাসো ডিটেনশন কেন্দ্রে বন্দি রয়েছেন। লিন্ডা এবং আমেরিকার বেশ কিছু চিকিৎসা সংক্রান্ত নৈতিক বিশেষজ্ঞেরা জানান, অনশন করার মানে আত্মহত্যার চেষ্টা নয়। তাঁদের প্রশ্ন, তা হলে কী করে মার্কিন প্রশাসন জোর করে ওঁদের অনশন ভাঙাতে উদ্যত হলেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy