রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস চিঠি লিখলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রপুঞ্জ বাংলাদেশের পাশেই থাকবে, জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১৩ মার্চ গুতেরেসের বাংলাদেশে আসার কথা। তিন দিনের সফরে একাধিক বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে, রাষ্ট্রপুঞ্জ তা সমর্থন করে। এ ছাড়া, বাংলাদেশের উপর রোহিঙ্গা সমস্যার প্রভাব এবং তা নিয়ে ইউনূসের উদ্বেগের সঙ্গেও সহমত হয়েছেন গুতেরেস। তিনি জানিয়েছেন, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা এবং সেখানকার রাজনৈতিক সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে নিযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মীদেরও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যাটিকে রাষ্ট্রপুঞ্জ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করছে, চিঠিতে জানিয়েছেন গুতেরেস।
আরও পড়ুন:
গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। গণ আন্দোলনের চাপে পড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে এসেছেন হাসিনা। তার পর ৮ অগস্ট বাংলাদেশে গড়ে ওঠে অন্তর্বর্তী সরকার। তার পরেও রোহিঙ্গা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। অভিযোগ, ওই সীমান্ত পেরিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছেন। যা নিয়ে একাধিক বার ইউনূস উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইউনূসের এই সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব। তাঁকে এর আগে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ইউনূস। তার ভিত্তিতেই ১৩ মার্চ গুতেরেস বাংলাদেশে আসবেন। শেষ বার তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন ২০১৮ সালে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘ দিনের। এই সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সেই সম্মেলন হওয়ার কথা কাতারের রাজধানী দোহায়। তার আগে রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের আলোচনা ইতিবাচক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।