Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
United Nations

প্রতিষেধক নিয়ে ধনী দেশের দাদাগিরিতে ক্ষুব্ধ রাষ্ট্রপুঞ্জ

প্রতিষেধক বণ্টন নিয়ে ‘দাদাগিরি’ করছে ধনী দেশগুলো। ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেজ়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
জেনিভা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:১৩
Share: Save:

প্রতিষেধক বণ্টন নিয়ে ‘দাদাগিরি’ করছে ধনী দেশগুলো। ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেজ়। তাঁর কথায়, ‘‘গোটা প্রক্রিয়াটাই ভয়ঙ্কর অস্বচ্ছ। হাতে গোণা দশটা দেশে ৭৫ শতাংশ টিকা প্রয়োগ হয়েছে। অথচ এই দেশগুলোরই দাবি, গোটা পৃথিবীর সব দেশের মানুষের কাছে যত দ্রুত সম্ভব টিকা পৌঁছে দিতে হবে!’’

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে একটি রিপোর্ট পেশ করে গুতেরেজ় জানান, অন্তত ১৩০টি দেশে এখনও এক জনকেও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। অথচ ব্রিটেন-আমেরিকার মতো দেশে ইতিমধ্যেই লাখখানেক টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। গুতেরেজ়ের কথায়, ‘‘এমন সঙ্কটের পরিস্থিতিতে প্রতিষেধক সমবণ্টন হল গোটা বিশ্বের সামনে সব চেয়ে বড় নৈতিক পরীক্ষা।’’

সপ্তাহ খানেক আগেই অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্পষ্ট করে জানিয়েছে, নিজেদের দেশের মানুষের প্রাণ আগে। তার পরে অন্য কারও কথা ভাবার প্রশ্ন। চুক্তি মতো যথেষ্ট পরিমাণ প্রতিষেধক ইইউ-এ পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন ইইউ প্রধান উরসুলা ফন ডের লেয়েন। ইইউ-এর কোনও দেশে উৎপাদিত টিকা ব্লকের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না বলেও ‘হুমকি’ দেন তিনি। ফলে টিকার সমবণ্টন নিয়ে যতই সতর্ক করুক না কেন রাষ্ট্রপুঞ্জ, ভ্যাকসিন নিয়ে জাতীয়তাবাদ চলছেই।

গুতেরেজ় আজ জানান, অবিলম্বে ‘গ্লোবাল ভ্যাকসিনেশন প্ল্যান’ তৈরি করতে হবে। যাতে ক্ষমতাবান দেশগুলো প্রতিষেধক সমান ভাগে ভাগ করতে বাধ্য হয়। এই পরিকল্পনায় বিজ্ঞানী, টিকাপ্রস্তুতকারী সংস্থা ও অর্থ তহবিল তৈরি করছেন না যাঁরা, তাঁদের যুক্ত করতে হবে। জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জি২০-এর সদস্য দেশগুলিকে টাস্ক ফোর্স তৈরির জন্যেও আবেদন জানান তিনি। টাস্ক ফোর্সে বিশ্বের প্রথম সারির ওষুধপ্রস্তুতকারী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংস্থাগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হবে।

রাষ্ট্রপুঞ্জ গোড়া থেকে বলে আসছে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধটা এমনই, কোনও দেশ শুধু নিজের ভালটুকু বুঝে নিয়ে সুস্থ হতে পারবে না। পৃথিবীর কোনও প্রান্তে ভাইরাস থেকে যাওয়া মানেই বিপদকে বাঁচিয়ে রাখা। কিন্তু সে বার্তা যে এখনও উপেক্ষিত, ১৩০টি দেশের ভ্যাকসিন না-পাওয়া থেকেই স্পষ্ট।

অন্য বিষয়গুলি:

United Nations Coronavirus Vaccine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy