রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদী। —নিজস্ব চিত্র।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশন থেকে নাম না করে পাকিস্তানকে নিশানা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, কয়েকটি দেশ সন্ত্রাসবাদকে ‘কূটনৈতিক চাল’ হিসাবে কাজে লাগায়। তবে জঙ্গিরা যে তাদের কাছেও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে সে সতর্কবাণীও শুনিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি, পালাবদল ঘটে যাওয়া আফগানিস্তানের মাটিকে সন্ত্রাসবাদীরা যাতে ব্যবহার করতে না পারে, তা নিয়েও আন্তর্জাতিক ওই মঞ্চে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৬তম সাধারণ সভায় মোদী ভারতের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। বলেন করোনার মতো অতিমারির বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের কথাও। এর পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থাকে ভারতে এসে টিকা প্রস্তুত করার আহ্বানও জানান তিনি। এর পরের ধাপেই তিনি চলে আসেন সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে। ইসলামাবাদের নাম না করেই ইঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটি দেশ সন্ত্রাসবাদকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে। সন্ত্রাসবাদ তাদের কাছেও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।’’ সদ্য রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে আফগানিস্তানে। কাবুল এখন তালিবানের হাতে। ভারতের অন্যতম প্রতিবেশী ওই দেশটি সম্পর্কে মোদী বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের মাটি যাতে সন্ত্রাসবাদীরা তাদের কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।’’
কাবুলের তখতে তালিবান বসার পর থেকেই নয়াদিল্লির কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের আশঙ্কা, আফগানিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানের শিকড় ক্রমেই গভীরে পৌঁছচ্ছে। অনেকের মতে, সাম্প্রতিক অতীতে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-কেও এমন চালিকাশক্তির ভূমিকায় দেখা যায়নি, যেমনটা দেখা গিয়েছে আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের নাম না করে সেই বার্তাই আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরেছেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘আজ গোটা দুনিয়ায় প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাভাবনা এবং চরমপন্থার বাড়বাড়ন্ত।’’ মোদীর বার্তা, ‘‘এমন পরিস্থিতিতে গোটা দুনিয়ারই উচিত, উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মত, যুক্তিবাদী এবং প্রগতিশীল চিন্তাভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়া।’’ মোদীর দাবি, ভারতও সেই পদক্ষেপ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy