Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Britain Lawsuit

নাতনিদের ‘বঞ্চনা’! পাঁচ কোটির সম্পত্তি থেকে পাঁচ হাজার দিয়ে গেলেন বৃদ্ধ, সায় কোর্টের

সম্পত্তি ভাগাভাগি করতে গিয়ে দাদুর ‘বঞ্চনা’র বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই নাতনিরা। তবে তাতে বিশেষ সুরাহা হয়নি। বিচারক বৃদ্ধের সিদ্ধান্তেই সম্মতি দিয়েছেন।

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৫:২৪
Share: Save:

পাঁচ কোটির বেশি মূল্যের সম্পত্তির মালিক ছিলেন বৃদ্ধ। সঙ্গে আরও প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার বাড়ি ছিল তাঁর নামে। তাঁর মৃত্যুর পর সন্তানদেরই সে সম্পত্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু মৃত্যুর আগে উইল করে সম্পত্তি লিখে দিয়ে গেলেন বৃদ্ধ। বঞ্চিত করলেন পাঁচ নাতনিকে। অভিযোগ, শেষ জীবনে ওই নাতনিরা তাঁকে দেখতে যাননি। ফিরেও তাকাননি তাঁর দিকে। তাই পাঁচ কোটির সম্পত্তি থেকে তাঁদের মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে গিয়েছেন বৃদ্ধ।

ঘটনাটি ব্রিটেনের। দাদুর এই ‘বঞ্চনা’র বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই নাতনিরা। তবে তাতে বিশেষ সুরাহা হয়নি। বিচারক বৃদ্ধের সিদ্ধান্তেই সম্মতি দিয়েছেন। জানিয়েছেন, বৃদ্ধ যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, ওই নাতনিরা তাঁকে দেখতে যাননি। তাই তিনি বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন। সম্পত্তি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে তাই বৃদ্ধের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

২০২০ সালেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে তিন বার তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অভিযোগ, সে সময়ে এই পাঁচ নাতনি তাঁকে এক বারের জন্যেও দেখতে যাননি।

উল্লেখ্য, বৃদ্ধের তিন পুত্র। তাঁদের মধ্যে এক জন ২০১৫ সালে মারা গিয়েছেন। সেই পুত্রের পাঁচ কন্যাকেই সম্পত্তি থেকে ‘বঞ্চিত’ করেছেন তিনি। পাঁচ জনকে দিয়েছেন ৫০ পাউন্ড করে। ভারতীয় মুদ্রার হিসাবে যার মূল্য পাঁচ হাজার টাকা। সম্পত্তির বাকি অংশ এবং বাড়িটি তিনি বাকি দুই পুত্রের নামে লিখে দিয়ে গিয়েছেন।

বৃদ্ধের সিদ্ধান্তের কথা শুনে আদালতে গিয়েছিলেন পাঁচ নাতনি। সম্পত্তির ভাগ চেয়েছিলেন তাঁরা। বিচারক জানিয়েছেন, বৃদ্ধের সিদ্ধান্ত ‘সম্পূর্ণ যুক্তিসঙ্গত’। দাদুর প্রতি ওই নাতনিদের কর্তব্য পালন করা উচিত ছিল বলেও জানায় আদালত।

অন্য বিষয়গুলি:

Britain Lawsuit will Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy