ঢাকার ভরা আদালত চত্বর থেকে পালাল ব্লগার অভিজিৎ রায়ের দুই ‘খুনি। ছবি সংগৃহীত।
ব্লগার, লেখক অভিজিৎ রায়কে খুনে দোষী সাব্যস্ত দুই জঙ্গি আদালতে পুলিশি ঘেরাটোপ থেকে পালিয়ে গেলেন। রবিবার এই দু’জনকে অন্য একটি মামলার শুনানিতে ঢাকার সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। জনাকীর্ণ আদালত চত্বর থেকেই কী ভাবে হাইপ্রোফাইল দুই আসামি পালিয়ে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশের স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই জঙ্গিকে যখন পুলিশি প্রহরায় আদালতে ঢোকানো হচ্ছিল, সে সময় হঠাৎ মোটর সাইকেলে করে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় যুবক তাঁদের ঘিরে ধরে। তারপর দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের সামনে কিছু স্প্রে করে ওই দু’জনকে নিয়ে পিঠটান দেয় বাইক বাহিনী। এর ফলে কিছু সময়ের জন্য পুলিশ আধিকারিকরা চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করেন। পরে সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজে দেখা যায়, সরু একটি গলি দিয়ে দু’জনকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাইকবাহিনী।
পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গির এক জন হলেন মইনুল হাসান ওরফে শামিম ওরফে ইমরান। অপর জন হলেন আবু সিদ্দিক সোহেল। দু’জনেই আনসারউল্লাহ বাংলা নামক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘মুক্তমনা’ ব্লগার, লেখক অভিজিৎ রায় এবং তাঁর বইয়ের প্রকাশক ফয়জ়ল আরফিন দীপনকে খুন করার দায়ে আরও অনেকের সঙ্গে এই দু’জনকেও ফাঁসির সাজা দিয়েছিল আদালত।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যাঁরা এই দুই অপরাধীর সন্ধান দিতে পারবেন, তাঁদের পুরষ্কৃত করবে সরকার। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পুলিশের তরফে যথেষ্ট গাফিলতি ছিল। সাধারণ অপরাধীদের মতো মাত্র দু’জন পুলিশ আধিকারিক এই দু’জনকে পাহারা দিচ্ছিলেন। এ বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা জানতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে হওয়া বইমেলায় উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ। সে সময় প্রকাশ্যেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। অভিজিতের স্ত্রীও এই অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হন। ওই বছরই নভেম্বরে খুন করা হয় দীপনকে। দু’টি খুনের ঘটনাতেই নাম জড়ায় ইমরান ওবং সোহেলের। অভিজিৎ তাঁর লেখায় মৌলবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাঁর যুক্তিবাদী লেখা নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছিল সে দেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলি। তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy