শুধু সব্যসাচীর জন্য সৌজন্যে-ফেসবুক
এত প্রার্থনা, টানা এতগুলো দিনের লড়াই সব যেন এক লহমায় স্তব্ধ। প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। চিরঘুমের দেশে বছর ২৪-এর মেয়েটা। ২ নভেম্বর হঠাৎই স্ট্রোক হয় তাঁর। তার পর প্রায় দু’সপ্তাহ হাসপাতালে সংজ্ঞাহীন। সকলেই চেয়েছিলেন, আগের মতোই ফিরে আসবেন লড়াকু মেয়েটা। কিন্তু নাহ! এ বার আর তেমন কোনও ‘অলৌকিক’ হল না। এর আগে অবশ্য দু’বার ক্যানসারকে হারিয়ে ফিরে আসেন ঐন্দ্রিলা। আর তাঁর এই লড়াই পরিবার ছাড়া, প্রথম থেকে যিনি তাঁকে সাহচর্য দিয়েছেন, তিনি সব্যসাচী, ঐন্দ্রিলার প্রেমিক। রীতিমতো শুশ্রূষা করেছেন ঐন্দ্রিলার। প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলেন সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা জুটি। সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার প্রেমকাহিনি যেন হার মানাবে রূপকথার গল্পকেও।
ঐন্দ্রিলা ক্যানসার জয় করে ফিরে আসার পর জানান, সব্যসাচীর মুখটা যেন তাঁর ওই যন্ত্রণায় উপশমের মতো। সালটা ২০১৭, ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক ঐন্দ্রিলার। ধারাবাহিকের সময় থেকে আলাপ সব্যসাচী ও তাঁর। তার পর প্রণয়। হাসপাতাল, কেমোথেরাপি পার করে মাথা মুড়িয়ে এক নতুন ঐন্দ্রিলা ফিরে এসেছিলেন। ২০২২-এ ফের ক্যামেরার সামনে ফেরেন ঐন্দ্রিলা। প্রতিটা লড়াইয়ে সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন সব্যসাচী। তাই দিন কয়েক আগে অভিনেত্রীর শেষ পোস্টটাও ছিল সব্যসাচীকে নিয়েই।
ঐন্দ্রিলার অসুস্থ হওয়ার দিন কয়েক আগেই ছিল তাঁর প্রেমিকের জন্মদিন। সব্যসাচীর জন্য ঐন্দ্রিলার শেষ প্রেমনিবেদনও বলা যেতে পারে। দু’জনের হাসিমাখা মুখের ছবি দিয়ে ঐন্দ্রিলা লেখেন, ‘‘আমার বেঁচে থাকার কারণ।’’
ঐন্দ্রিলার লড়াই শেষ, কিন্তু একটা মুহূর্তের জন্য হাল ছাড়েননি তিনি এবং সব্যসাচীও বটে। প্রতি পদেই বলেছিলেন, ঐন্দ্রিলাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। সে আশা পূরণ না হলেও জিতে গিয়েছে তাঁদের ভালবাসা। তাই জুটিতেই রয়ে যাবে এই দুটো নাম— ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy