পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসা দু’টি গ্রহাণু হল ২০২৩ এইচডব্লু৫ এবং ২০২৩ এইটসি৪। — ফাইল ছবি।
পৃথিবীর কি বিপদ আসন্ন! ২৯ এপ্রিল তার দিকে ধেয়ে আসছে একটি নয়, এক জোড়া গ্রহাণু। অলিম্পিকে যে সুইমিং পুলে (৫০ মিটার) সাঁতার কাটেন প্রতিযোগীরা, তার সমান আকার এই গ্রহাণুদের। তবে পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে না তারা। বরং পাশ কাটিয়ে চলে যাবে। জানিয়েছে, নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (সিএনওইএস)। পৃথিবীর কাছাকাছি ঘোরাফেরা করা প্রায় ৩০ হাজার গ্রহাণুর উপর নজর রেখে চলেছে তারা। তাদের মধ্যেই দু’টি ২৯ এপ্রিল পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসছে।
পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসা দু’টি গ্রহাণু হল ২০২৩ এইচডব্লু৫ এবং ২০২৩ এইটসি৪। ২০২৩ এইচডব্লু৫ গ্রহাণুটি পৃথিবীর ৬০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬১৩ কিলোমিটার দূরে আসবে। প্রতি সেকেন্ডে তার গতি থাকবে ৮.৭৬ কিলোমিটার। ২০২৩ এইটসি৪ গ্রহাণুটি আরও কাছে আসবে। পৃথিবী থেকে ৪১ লক্ষ ৭০ হাজার ১৬০ কিলোমিটার দূরে এসে পাশ কাটিয়ে চলে যাবে। প্রতি সেকেন্ডে এর গতি থাকবে ৪১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭৭৮ কিলোমিটার।
এপ্রিল মাসে প্রায় ১৪৯টি গ্রহাণু পৃথিবীর বেশ কাছাকাছি এসেছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি তিনটি বড় গ্রহাণু চলে এসেছিল পৃথিবীর কাছে। তারা হল ২০২৩ জিজি, ২০২৩ এফই৫, এফএস১০। এর পর ২০ এপ্রিল পৃথিবী থেকে মাত্র ১১ লক্ষ কিলোমিটার দূরে চলে এসেছিল একটি গ্রহাণু। নাম ২০২৩ এইচকে। সেকেন্ডে তার গতি ছিল ১৫.৮৬ কিলোমিটার। ২৬ এপ্রিল পৃথিবীর খুব কাছে চলে এসেছিল ২০০৬ এইচভি৫। একটি জেট বিমানের মতো ছিল এর আয়তন। তবে নাসার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১০০ বছর পৃথিবীতে কোনও গ্রহাণু আছড়ে পড়ে বিপদ ঘটাবে না। বেশির ভাগই পৃথিবীর বেশ কাছাকাছি এসে আবার সরে যাবে। এই গ্রহাণু প্রবল গতিতে পৃথিবীতে আছড়ে পড়লে হতে পারে প্রবল বিস্ফোরণ। এমনকি ধ্বংসও হয়ে যেতে পারে। সে কারণেই গ্রহাণুর গতিবিধির উপর নজর রাখে নাসা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy