তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টার বন্ধকে কেন্দ্রকে সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল ও বিজেপি। শাসকদলের অভিযোগ, বিজেপি তাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। গেরুয়া শিবিরের হামলায় দলের এক কর্মী জখমও হয়েছেন বলে দাবি। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলই প্রথমে তাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। গন্ডগোল হয়েছে কোচবিহারের ঘুঘুমারি, ভেটাগুরিতে। কোচবিহার-১ ব্লকের ঢাংঢিংগুড়িতেও তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছে। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। শাসকদলের দাবি, গেরুয়া শিবিরের আক্রমণে দলের এক কর্মী আহত হয়েছেন। জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘পার্টি অফিসে এ ভাবে হামলা চালানো অনুচিত। তৃণমূল চাইলে বিজেপির একটি পার্টি অফিসও থাকবে না। গণতন্ত্রে শাসক ও বিরোধী শিবিরের সহাবস্থান জরুরি। সেই কারণেই আমরা কিছু করি না।’’
অন্য দিকে, শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রথমে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘সকাল থেকেই আমাদের কর্মীরা বন্ধের সমর্থনে এলাকায় মিছিল বার করে। মিছিল শেষে তারা দলীয় কার্যালয়ে এসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, তখনই অতর্কিতে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী এসে আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ করে এবং আমাদের দলীয় কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করে। এতে আমাদের খদিবর রহমান নামে এক কর্মী আহত হয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে তৃণমূল কর্মীরা পালিয়ে যায়।’’
বিজেপির বন্ধের জেরে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দিনহাটার ভেটাগুড়িতে বন্ধের সমর্থনে পথ অবরোধ করেন বিজেপি সমর্থকরা। অভিযোগ, অনেক দোকানপাটও জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সব কিছু সচল রাখতে এবং বন্ধের বিরোধিতা করে পথে নামে তৃণমূলও। স্থানীয় সূত্রে খবর, বন্ধের প্রতিবাদে বাঁশ এবং লাঠি নিয়ে পথে নামেন তৃণমূল সমর্থকেরা। যার জেরে সেখানেও সংঘর্ষে জড়ায় দু’পক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy