Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
international News

‘কর্মীদের জড়াবেন না’, ট্রাম্পের হুমকির মুখে অনড় টুইটার কর্তা

ইমেলের মাধ্যমে ব্যালট নিয়ে টুইট করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দু’টি টুইটের নীচে বুধবার টুইটারের তরফে একটি বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছিল।

ট্রাম্পের হূুমকির পরেও অনড় টুইটার কর্তা জ্যাক ডোরসি। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

ট্রাম্পের হূুমকির পরেও অনড় টুইটার কর্তা জ্যাক ডোরসি। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ১৪:৪৯
Share: Save:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সংস্থায় তালা ঝোলানোর হুমকি দেওয়ার পরেও সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন টুইটারের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) জ্যাক ডোরসি। জানালেন, বিশ্বের সর্বত্র যে কোনও নির্বাচন সংক্রান্ত বেঠিক ও বিতর্কিত তথ্যাদি সম্পর্কেই সতর্কতা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে টুইটার। এটা কোনও বিশেষ দেশ বা ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য নয়, কার্যকর হবে এমন সব ক্ষেত্রেই।

ইমেলের মাধ্যমে ব্যালট নিয়ে টুইট করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দু’টি টুইটের নীচে বুধবার টুইটারের তরফে একটি বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট কয়েকটি লিঙ্ক, যাদের মাধ্যমে ট্রাম্পের দু’টি টুইটের বক্তব্য সম্পর্কে অন্যান্য মতামতও জানতে পারেন পাঠকরা। ফ্যাক্ট চেক (তথ্যাদি পরীক্ষা করে দেখা) করার জন্য। এর পরেই টুইটারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সংস্থাটি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তার প্রেক্ষিতে এ দিন টুইটারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সিইও জ্যাক ডোরসি টুইটে লিখেছেন, “আসল তথ্য: যদি কেউ আমাদের সংস্থার কোনও কাজ বা ব্যবস্থার জন্য দায়ী থাকেন, তা হলে সেটা আমিই। আর কেউ নন। এ সব ব্যাপারে দয়া করে আমাদের কর্মীদের জড়াবেন না। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের যে কোনও নির্বাচন সম্পর্কে কোনও বেঠিক বা বিতর্কিত তথ্য থাকলেই আমরা এটা করছি। ভবিষ্যতেও করে যাব। আমরা এই সিদ্ধান্তও নিয়েছি, যদি আমরা কোনও ভুল করি, তা হলে সেটা স্বীকার করে নিতেও দ্বিধা করব না।’’

এ কথা লেখার পর যাতে কোনও বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয়, সম্ভবত সে কথা মাথায় রেখেই আর একটি টুইটে ডোরসি বলেছেন, “টুইটারকে যেন কেউ পৃথিবীতে একেবারে সত্যের রক্ষক বলে না ভাবেন!’’

আরও পড়ুন- পরিস্থিতি স্থিতিশীল, আলোচনায় সমাধান সম্ভব, লাদাখ নিয়ে সুর নরম চিনের

আরও পড়ুন- বাণিজ্যিক কারণেই সীমান্তের উত্তেজনা জিইয়ে রাখতে চায় চিন, মত বিশেষজ্ঞদের​

তা হলে এই কাজটা করছে কেন টুইটার? ব্যাখ্যা করতে গিয়ে টুইটারের সিইও জানিয়েছেন, পরস্পরবিরোধী মতামতের মধ্যে থাকা বিন্দুগুলি জোড়ার কাজ করছে তাঁর সংস্থা। যাতে যে মতামতগুলি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, মানুষ সেগুলি জানতে পারেন এবং সেই মতো নিজেই নিজের মতো করে সেগুলি বিচার করতে পারেন।

ডোরসির কথায়, “এর থেকে বেশি স্বচ্ছ্ব হওয়া আমাদের পক্ষে বেশ কঠিন। তাই মানুষ বুঝতে পারছেন, কেন এটা আমরা চালু করেছি এবং চালিয়ে যাচ্ছি ও যাব।’’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দু’টি টুইটের নীচে টুইটারের তরফে বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে ডোরসি বলেছেন, “ওই টুইটের ফলে মানুষের ধারণা হতে পারে শুধু স্বীকৃত ভোটাররাই ব্যালটের অধিকারী হতে পারেন। আর কেউ বোধহয় স্বীকৃত ভোটার হতে নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না।’’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইটগুলি ভিন্ন মাত্রা পায় মার্কিন মুলুকের পাঁচটি স্টেট- কলোরাডো, হাওয়াই, ওয়াশিংটন, ওরেগন ও উটাহে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক ভাবে ইমেলের মাধ্যমে ভোট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায়।

অন্য বিষয়গুলি:

US Donald Trump Jack Dorsey Tweeter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE