মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। -ফাইল ছবি।
পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এ বার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগলেন পেন্টাগনের প্রাক্তন প্রধান জিম ম্যাটিস। বললেন, আমেরিকাকে ভাগ করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। ব্যর্থ হয়েছেন দেশকে পরিণত নেতৃত্ব দিতে। সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২০১৮-র ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেছিলেন ম্যাটিস।
কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল আমেরিকার বিক্ষোভকারীদের পক্ষ নিয়ে ম্যাটিস বলেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পই আমার জীবনে দেখা প্রথম মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট, যিনি আমেরিকার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেন না। এমনকী, তার ভানটাও করেন না। বরং বিরোধ বাধিয়ে রাখতে চান মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে।’’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য আটলান্টিক’-এর একটি অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে ম্যাটিসের নিবন্ধটি।
মার্কিন নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যাটিস কিছু দিন আগেও মুখ খুলতে চাননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। বলেছিলেন, “প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করাটা বোধহয় আমার উচিত হবে না।’’
আরও পড়ুন- ‘আমার বাবা তো দুনিয়াই বদলে দিল!’ || মেয়েটা বড় হয়ে গেল আট দিনে
আরও পড়ুন- নেপাল নিয়ে নীতি কী হবে, দিশাহারা নয়াদিল্লি
কিন্তু পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর ঘটনায় গোটা আমেরিকা যখন বিক্ষোভে উত্তাল, তখন আর নিজের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারলেন না ম্যাটিস। বললেন, “উনি (ট্রাম্প) আমেরিকার মানুষকে একজোট না করে ভাগ করতে চাইছেন। টানা তিন বছর একটা দেশ কোনও অপরিণত নেতৃত্বের হাতে থাকলে কী হয়, সেটা এখন আমরা ঠারেঠারে বুঝতে পারছি। দেখতে পারছি।’’
ম্যাটিস এও জানিয়েছেন, দেশজোড়া বিক্ষোভকে দমন করতে যে ভাবে সেনাবাহিনী নামানোর হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তাতে তিনি রুষ্ট। হতচকিতও।
বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করে ম্যাটিস লিখেছেন, “ওঁরা যে ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন, তা একাংশের নয়, সঙ্ঘবদ্ধ দাবি। সেই দাবি জানানোর সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। এই দাবির পিছনে আমাদের সকলেরই দাঁড়ানো উচিত। দাঁড়াতে হবে।’’
ম্যাটিস জানিয়েছেন, ৫০ বছর আগে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সময় সংবিধানের মর্যাদা রক্ষার শপথ তাঁকেও নিতে হয়েছিল। তাই সেনাবাহিনীকে দিয়ে কোনও সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা সমর্থনযোগ্য নয়।
পেন্টাগনের প্রাক্তন কর্তা ম্যাটিস লিখেছেন, “আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারি না, আমি যে শপথ নিয়েছিলাম, সেই একই শপথ নেওয়া এখনকার মার্কিন সেনাবাহিনীকে কী ভাবে দেশের মানুষদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার নির্দেশ দেওয়া হল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy