হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ফাইল চিত্র।
কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করার যে প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দিয়েছিলেন, তা তিনি নিজেই ফিরিয়ে নিয়েছেন। আজ ওয়াশিংটনে এই কথা জানিয়েছেন আমেরিকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
রাষ্ট্রদূতের কথায়, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মধ্যস্থতা করার যে প্রস্তাব তিনি দিয়েছিলেন, তা পাকিস্তান ও ভারত, দু’টি দেশকেই গ্রহণ করতে হত। কিন্তু নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা এই দ্বিপাক্ষিক সমস্যায় তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চায় না। তাই ট্রাম্প নিজেই তাঁর প্রস্তাব ফিরিয়ে নিয়েছেন।’’
২২ জুলাই ওয়াশিংটনে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প হঠাৎ বলে বসেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা
করতে বলেছেন। ভারত সেই দাবি খণ্ডন করে বিবৃতি দিলে ট্রাম্প জানান, মোদী তাঁকে কিছু না বললেও তিনি মধ্যস্থতা করতে রাজি। ভারতের পক্ষ থেকে তাঁকে ফের জানানো হয়, ইসলামাবাদ ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে কথা বলবে না তারা। আজ শ্রিংলা জানান, এ বিষয়ে ভারতের মনোভাব রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসকেও জানানো হয়েছে।
এ দিকে, কাশ্মীর নিয়ে বেঁফাস কথা বলে অনাবাসী ভারতীয়দের সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য টম সুয়োজ়ি। ভারত ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করার পরে তিনি মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োকে চিঠি লিখে জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে এলাকায় অশান্তি, এমনকি সন্ত্রাসবাদ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ৯ অগস্ট পাঠানো সেই চিঠি প্রকাশিত হওয়ার পরে সুয়োজ়ির দফতরে প্রতিবাদ চিঠি ও মেল-এর ঢল নামে। নিউ ইয়র্কের যে এলাকা থেকে সুয়োজ়ি নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভূতের সংখ্যা বিশাল এবং প্রচারের সময়ে তাঁদের কাছ থেকে বিপুল অর্থসাহায্য পেয়েছিলেন তিনি। চাপের মুখে পড়ে রবিবার একশোরও বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূতের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সুয়োজ়ি। তার পরে বলেন, ‘‘আপনাদের সঙ্গে কথা না বলে এই চিঠি পাঠানো আমার উচিত হয়নি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy