বেকসুর: বৃহস্পতিবার প্রাতরাশ বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প। এএফপি
হওয়ার যা ছিল, সেটাই হল। রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সেনেটে ইমপিচমেন্ট-শুনানিতে সহজেই ছাড় পেয়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পুনর্নির্বাচনের লড়াইয়ে নামার আগে এটা নিঃসন্দেহে তাঁর বড় ধরনের রাজনৈতিক জয়।
মূল অভিযোগ ছিল দু’টি। প্রথমটি ক্ষমতার অপব্যবহার। বুধবার সেনেটে এই অভিযোগের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৮টি, আর বিপক্ষে ৫২টি। দ্বিতীয় অভিযোগ, মার্কিন কংগ্রেসের কাজে বাধা দান— তার পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৭টি। বিপক্ষে ৫৩টি। ফলাফল— সসম্মানে উত্তীর্ণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ৭৩ বছর বয়সে পৌঁছে তিনি এমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়ে রেকর্ড গড়লেন, যিনি ইমপিচমেন্ট শুনানির মুখে পড়ে মুক্তি তো পেলেনই, পুনর্নির্বাচনেও লড়তে চলেছেন। ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সেনেটে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন ছিল। ১০০ সদস্যের সেনেটে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টিই সংখ্যাগরিষ্ঠ (৫৩টি আসন)। তাই গোড়া থেকেই লড়াইটা ছিল ট্রাম্পের পকেটে।
প্রথম অভিযোগ অর্থাৎ ক্ষমতার অপব্যবহারের ক্ষেত্রে ভোটাভুটিতে রিপাবলিকান হয়েও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন তাঁর কড়া সমালোচক, সেনেটর মিট রোমনি। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের পদপ্রার্থী রোমনি অবশ্য দ্বিতীয় অভিযোগের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। বাকি রিপাবলিকান সদস্যরা দলের পথ অনুসরণ করেছেন। প্রেসিডেন্ট ছাড় পাওয়ার পর পরই হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়, ‘‘ডেমোক্র্যাটরা যে লজ্জাজনক আচরণ করেছেন, তার যথাযথ জবাব দিয়ে খুশি প্রেসিডেন্ট। ২০২০ এবং তার পরবর্তী সময়ে মার্কিন জনতার জন্য কাজ করতে প্রেসিডেন্ট আগ্রহী।’’ টুইটারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউস থেকে শীঘ্রই বিবৃতি দেবেন তিনি। পাশাপাশি ছোট একটি ভিডিয়ো পোস্টে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘ট্রাম্পিজম’ কী ভাবে ট্রাম্পেরও ঊর্ধ্বে চলে গিয়েছে! তৃপ্ত প্রেসিডেন্টের সামনে লেখা, ‘ট্রাম্প ফরএভার।’
ট্রাম্প পার পেয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি নয় ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। তাঁরা বলেছেন, রিপাবলিকানরা সংবিধান মেনে তাঁদের কর্তব্য এবং মার্কিন জনতার ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিলেন না। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ‘‘আজ প্রেসিডেন্ট এবং সেনেটের রিপাবলিকানরা বিশৃঙ্খলাকে স্বীকৃতি দিলেন। আমাদের সংবিধান যে ভারসাম্য ও প্রশ্ন তোলার পরিসর রেখেছে, তাকেও প্রত্যাখ্যান করলেন ওঁরা।’’ পেলোসির সংযোজন, ‘‘প্রেসিডেন্ট এ বার ঢাক পিটিয়ে বলবেন, তিনি মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া, তথ্য এবং প্রমাণ ছাড়া কোনও মুক্তি হয় না।’’ হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি স্টেফানি গ্রিশাম পেলোসিদের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘‘ডেমোক্র্যাটরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইমপিচ করার ভুয়ো লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছিলেন।’’
প্রেসিডেন্টের ভারতে আসার ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কথা চলছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy