হাউসের ইনটেলিজেন্স কমিটির বৈঠক।
ন্যাটো সামলাবেন, না ঘর!
ন্যাটোর শীর্ষ বৈঠক চলছে লন্ডনে। দু’দিন ধরে সেখানেই রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মধ্যে গত কালই তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট তদন্তের শুনানি রিপোর্ট পেশ করে হাউসের ইনটেলিজেন্স কমিটি জানাল, প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার মতো যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে তাদের হাতে।
দীর্ঘ ৩০০ পাতার ‘ট্রাম্প-ইউক্রেন ইমপিচমেন্ট তদন্ত রিপোর্ট’-এ স্পষ্ট বলা হয়েছে, আমেরিকার জাতীয় স্বার্থের থেকে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন ট্রাম্প। এবং ২০২০-র ভোটে ফের হোয়াইট হাউসে ফিরতে চেয়ে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশি (ইউক্রেনের) হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। যদিও এই রিপোর্টে প্রেসিডেন্টকে সরাসরি ইমপিচ করার ব্যাপারে তেমন জোরালো সওয়াল করেনি কমিটি। শুধু তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরে এ নিয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে তারা বল ঠেলেছে কংগ্রেসের কোর্টেই।
নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করে ট্রাম্প গোড়া থেকেই ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউসের ইনটেলিজেন্স কমিটির এই তদন্তকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে আসছেন। ডেমোক্র্যাটরা যদিও এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই তাঁকে ভোটের আগেই ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছেন। এই শুনানি রিপোর্ট এ বার হাউসের বিচার বিভাগীয় কমিটির কাছে যাবে। সূত্রের খবর, কাল, বুধবার থেকে এই রিপোর্ট নিয়ে কাজ শুরু করবে ওই কমিটি। যাতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইমপিচমেন্ট অভিযোগ আনা যায়। বড়দিনের আগেই প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা নিয়ে ভোটাভুটি সেরে ফেলতে চাইছে হাউস। কিন্তু তার পরে বিষয়টি যে-হেতু রিপালিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সেনেটে যাওয়ার কথা, তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পকে সরানো আদৌ সম্ভব নয়।
আসন্ন ভোটে এই তিনশো পাতার রিপোর্টের প্রভাব যে পড়বে, তা মোটামুটি নিশ্চিত মনে করছেন অনেকেই। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘প্রেসিডেন্ট যে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউক্রেনকে অনৈতিক চাপ দিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করাতে চেয়েছিলেন, তা প্রমাণিত।’’ হোয়াইট হাউস অবশ্য এ দিনও এই তদন্তকে একতরফা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy