ছবি রয়টার্স।
করোনা প্রতিষেধক তৈরির দৌড়ে ব্রিটেনের পরে এ বার সুখবর দিল রাশিয়াও। একটি সূত্রের দাবি, এপ্রিল মাসেই ওই সম্ভাব্য প্রতিষেধক শরীরে নিয়েছেন রাশিয়ার নামী-দামি শিল্পপতি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
অক্সফোর্ডের তৈরি সম্ভাব্য প্রতিষেধকটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ প্রথম ধাপে সফল হওয়ার খবরে সোমবারই আশার আলো ফুটেছিল। ল্যানসেট পত্রিকায় সেই রিপোর্ট প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিনের সাফল্যের খবর তুলে ধরল রাশিয়া। রাশিয়া প্রশাসন সূত্রের খবর, সেনা বিভাগের সঙ্গে যৌথ ভাবে গবেষণা চালিয়ে প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে ‘গামেলেই ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং গবেষণা সংস্থাগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সম্পূর্ণ অনুমোদন পাওয়ার আগে যে কোনও প্রতিষেধককে তিনটি পর্ব বা ফেজ়-এ উত্তীর্ণ হতে হয়। সূত্রের দাবি, জুন মাসে গামেলেই-এর প্রতিষেধকটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছিল। যা শেষ হয়েছে গত সপ্তাহে। যে জনা চল্লিশের উপরে প্রতিষেধকটি প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ এবং ঠিক যেমন ভাবা হয়েছিল, তাঁদের শরীরে সে ভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। প্রথম পর্বের রিপোর্ট প্রকাশ না-করলেও ামেলেই জানিয়েছে, দ্বিতীয় পর্বে প্রতিষেধক পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। যা শেষ হবে অগস্টের প্রথম সপ্তাহে। অন্তিম ধাপ, অর্থাৎ তৃতীয় পর্ব নিয়ে খুবই আশাবাদী তারা। তাদের দাবি, দুর্দান্ত পরিকাঠামোর জন্য রাশিয়া খুব দ্রুত ওই পর্বে সফল হবে।
অন্য একটি সূত্রের খবর, গত এপ্রিল মাসে, ফল বেরোনোর আগেই রাশিয়ার কয়েক জন শিল্পপতি, উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক, প্রভাবশালী ধনকুবের ওই প্রতিষেধক নিয়েছেন। যদিও প্রকাশ্যে বিষয়টি কেউই মানেননি। গামেলেই-এর তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। প্রতিষেধক নিয়ে আশাবাদী হলেও প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি প্রশাসনও। সদ্য করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভের বক্তব্য, এই ভ্যাকসিন কেউ নিয়েছেন বলে তিনি শোনেননি। প্রেসিডেন্ট পুতিন কি নিয়েছেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘ছাড়পত্র পাওয়ার আগে দেশের সর্বেসর্বার শরীরে তা প্রয়োগ করার ভাবনা ঠিক নয়।’’ তবে ভ্যাকসিন নিয়ে প্রতিযোগিতার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে রাশিয়া অহেতুক তাড়াহুড়ো করছে বলে মনে করছেন বিশ্বের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের একাংশ।
করোনা চিকিৎসায় একটি নতুন ওষুধের সাফল্যের কথা আজই জানিয়েছে ব্রিটেনের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। তাদের দাবি, ‘ইনহেল’ পদ্ধতিতে বা প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢুকে ওষুধটি করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। গুরুতর অসুস্থ ১০০ জনের উপরে পরীক্ষা চালিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাফল্য মিলেছে।
এ বার মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। সোমবার কালো মাস্ক পরা নিজের একটি ছবি টুইট করে তিনি বলেন, ‘‘অনেকের মতে, যেখানে দূরত্ববিধি বজায় রাখা সম্ভব নয়, সেখানে মাস্ক পরা উচিত। এটা নাটি দেশপ্রেমের পরিচয়। আপনাদের প্রিয় প্রেসিডেন্ট, আমার মতো বড় দেশপ্রেমী আর কেউ নেই!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy