This Japanese cafe run by paralyzed employees dgtl
japan cafe
শুধুমাত্র চোখের ইশারায় চলে একটা গোটা ক্যাফে!
শুধুমাত্র চোখের ইশারায় চলে একটা এই ক্যাফে!
সংবাদ সংস্থা
টোকিওশেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৫২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৯
টোকিওর ডন ভের বিটা ক্যাফে। রোবটরাই এই রেস্তরাঁয় খাবার পরিবেশন করেন। তবে এ ছাড়াও অন্য একটি কারণে এটি এক্কেবারে আলাদা।
০২০৯
রোবটদের চালনা করছেন কারা জানেন? রোবটগুলি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রয়েছে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ‘হাতে’। বা বলা ভাল তাঁদের চোখের পাতার নড়াচড়ার উপর।
০৩০৯
৪ ফুটের এই রোবটগুলির নাম ওরিহাইম ডি। তাদেরই নিয়ন্ত্রণ করছেন ওই ব্যক্তিরা।
০৪০৯
অ্যামিওট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস বা এ জাতীয় শিরদাঁড়ার সমস্যায় যাঁরা শয্যাশায়ী, তাঁরাই রোবটগুলিকে চালনা করেন। বেশিরভাগ রোগীই কিন্তু পক্ষাঘাতগ্রস্ত।
০৫০৯
ওই ব্যক্তিদের চোখের পাতার নড়াচড়ার সঙ্গে কম্পিউটারের সংযোগ রয়েছে। ঠিক যে ভাবে মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং যোগাযোগ রাখতেন বাইরের জগতের সঙ্গে। এই অসুখকে জয় করেই নিরন্তর গবেষণা চালিয়েছেন বহু দিন।
০৬০৯
রোবটগুলি নড়াচড়া করতে পারে, জিনিসপত্র তুলতে-রাখতে, খদ্দেরদের সঙ্গে টুকটাক কথাবার্তাও বলতে পারে।
০৭০৯
যে মানুষগুলো অনেক সময়ই হতাশায় অবসাদগ্রস্ততায় ভোগেন, নিজেদের অক্ষম ভাবেন, তারা যাতে নিজেদের মূল্য বোঝেন, গুরুত্ব বোঝেন, তাই তাঁদের নেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পে।
০৮০৯
শরীর নড়াচড়া করতে না পারলেও যাতে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন ওই ব্যক্তিরা, তাই এমন ভাবনা। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হলেও ২০২০ সালে এটি স্থায়ী ভাবে শুরু হবে, জানান ওরি ল্যাবের সিইও কেন্তারো ইউসিফুসি। এই রেস্তরাঁর ভাবনাও তারই।
০৯০৯
প্রতি ঘণ্টায় এই ব্যক্তিদের রোজগার ঘণ্টায় ৯ ডলারের সামান্য বেশি। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৬৩১ টাকা।