Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

প্রথম দশে লাতিন আমেরিকার পাঁচ

ব্রাজিলে সংক্রমণ ৪০ লাখ ছুঁতে চলল। আমেরিকার পরেই দ্বিতীয় স্থানে তারা। মৃতের সংখ্যাতেও দ্বিতীয় তারা। ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি লোক মারা গিয়েছেন ব্রাজিলে। ব্রাজিল ছাড়া পেরু, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, চিলি রয়েছে প্রথম দশে। আর্জেন্টিনা রয়েছে ১১-য়।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

   সংবাদ সংস্থা
রিয়ো ডি জেনেইরো শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২০ ০৪:৪৬
Share: Save:

পৃথিবী জুড়ে সংক্রমণ আড়াই কোটি ছাড়িয়ে গেল আজ। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ আমেরিকা সংক্রমণ-তালিকার শীর্ষে থাকলেও, উত্তরের থেকে লাতিন আমেরিকার অবস্থা আরও সঙ্গীন। এই মহাদেশের অন্তত পাঁচটি দেশই তালিকার প্রথম দশে।

ব্রাজিলে সংক্রমণ ৪০ লাখ ছুঁতে চলল। আমেরিকার পরেই দ্বিতীয় স্থানে তারা। মৃতের সংখ্যাতেও দ্বিতীয় তারা। ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি লোক মারা গিয়েছেন ব্রাজিলে। ব্রাজিল ছাড়া পেরু, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, চিলি রয়েছে প্রথম দশে। আর্জেন্টিনা রয়েছে ১১-য়।

লাতিন আমেরিকায় প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ব্রাজিলে। ফেব্রুয়ারির শেষে। যদিও গবেষকদের একাংশের দাবি, তাঁদের কাছে থাকা বেশ কিছু নথিপত্র বলছে, জানুয়ারিতেই ব্রাজিলে ঢুকে পড়েছিল করোনাভাইরাস। তার পর ধীরে ধীরে গোটা মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকাতেই ছড়িয়ে পড়েছে।

‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত ৭০ লক্ষ আক্রান্ত লাতিন আমেরিকায়। ২ লক্ষ ৭০ হাজারের কাছাকাছি মৃত্যু। এর মধ্যে ব্রাজিল ও মেক্সিকোয় মৃত্যু সব চেয়ে বেশি। বিশ্ব-তালিকায় মৃত্যুর হিসেব অনুযায়ী যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার এই দুই দেশ। মেক্সিকোয় মৃত্যুহার বরং বেশি। ৫ লক্ষ ৯১ হাজার সংক্রমিত। এর মধ্যে মারা গিয়েছেন ৬৩,৮১৯ জন। পেরুতে মৃত্যু সাড়ে ২৮ হাজারের বেশি।

কলম্বিয়ায় ১৯ হাজার। আর্জেন্টিনায় ৮ হাজারের সামান্য বেশি। এত দিন এ দেশে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৬ অগস্ট এক দিনে ১০ হাজার লোক সংক্রমিত হন। ‘প্যান আমেরিকান হেল্‌থ

অর্গানাইজেশন’ সতর্ক করে জানিয়েছে, পেরু-সহ ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কিছু দেশে সংক্রমণের গতি বাড়ছে।

ব্রাজিলের ভয়াবহ সংক্রমণ ও মৃত্যুর জন্য সে দেশের সরকারকেই দায়ী করছে বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশ। অভিযোগ, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো শুরু থেকেই উদাসীন। নিজে আক্রান্ত হয়েও সাংবাদিক বৈঠকে সে খবর জানিয়েছিলেন মাস্কহীন অবস্থায়। আমাজ়নের জনজাতিদের মধ্যেও করোনা ছড়িয়েছে। সে প্রসঙ্গে বোলসোনারো এক সময়ে বলেছিলেন, ‘‘ওই জঙ্গলে আর ক’টা লোক থাকে।’’

আর এক রাষ্ট্রনেতার কাণ্ডকারখানায় সব সময়ই সরগরম বিজ্ঞানীমহল। তিনি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি দেড় হাজার সমর্থকের উপস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর মনোনয়ন গ্রহণ করেন ট্রাম্প। সে দিনের অনুষ্ঠানেও যথারীতি তাঁর মুখে ছিল না। মাস্ক-হীন ছিলেন তাঁর সমর্থকেরাও। পারস্পরিক

দূরত্ববিধির কথা তো বাদ থাক। গায়ে গা ঘেঁষে বসে উল্লাস করেছেন, গলা ফাটিয়েছেন ট্রাম্পের জন্য। সে প্রসঙ্গে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অধ্যাপক লেনা ওয়েন বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত, ওখানে এমন কয়েক জন ছিলেনই, যাঁরা জানেন না, তাঁরা সংক্রমিত। হয়তো কোনও উপসর্গ নেই তাঁদের। আমার আশঙ্কা, এঁরা নিজেদের অজান্তে পাশের লোকটিকে সংক্রমিত করেছেন সে দিন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus COVID 19 Latin America
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE