Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
Israel Hamas War

গাজার হাসপাতালে পণবন্দি কয়েকশো রোগী-চিকিৎসক, পালানোর চেষ্টা দেখলেই চলছে গুলি, জানাল হু

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) রবিবার জানিয়েছে, গাজার আল শিফা হাসপাতালের সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগ করতে পারছে না তারা। হু-র প্রধান জানিয়েছেন, তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন।

—ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
জেনেভা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৩ ২০:১৭
Share: Save:

হাসপাতালগুলিকেও আর নিরাপদ থাকতে দিল না ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধ। বিধ্বস্ত গাজা শহরে কোনওমতে টিকে ছিল এই হাসপাতালগুলিই। যুদ্ধে জখম হাজার হাজার মানুষের চিকিৎসা করছিল তারা। তাদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। রবিবার হু জানিয়েছে, গাজার আল শিফা হাসপাতালের সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগ করতে পারছে না তারা। শুধু তা-ই নয়, গাজার এই হাসপাতালটিকে চারপাশে ট্যাঙ্কার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন হু-প্রধান চিকিৎসক টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। তিনি লিখেছেন, হাসপাতালটির চৌহদ্দি পেরিয়ে কেউ পালানোর চেষ্টা করলেই তাকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে চালানো হচ্ছে গুলি।

এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে বিষয়টি জানিয়েছেন টেড্রস। তিনি লিখেছেন, ‘‘এই পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগজনক এবং ভীতিপ্রদ!’’

গাজার আল শিফা হাসপাতাল বর্তমানে কী পরিস্থিতিতে রয়েছে, তার বিশদ বিবরণ দিয়েছেন টেড্রস। ওই পোস্টেই। লিখেছেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি, হাসপাতালে বার বার হামলা চালানো হচ্ছে। যাঁরাই হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের গুলি করা হয়েছে। কেউ মারা গিয়েছেন। কারও চোট গুরুতর। আর এখন আমরা জানতে পারছি, হাসপাতালটিকে ট্যাঙ্কার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।’’

গাজার এই হাসপাতালে কয়েকশো মানুষের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে হু। এ ছাড়াও হাসপাতালে রয়েছেন চিকিৎসক, চিকিৎসা কর্মী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মীরা। গাজার বহু শিশুও এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন ওই হাসপাতালে। হু জানিয়েছে, বহু রোগীর চিকিৎসা চলছে জীবনদায়ী ব্যবস্থার সাহায্যে। এমনকি, হাসপাতাল শেষ নিরাপদ আশ্রয় ভেবে যুদ্ধে ঘর হারানো বহু মানুষও আশ্রয় নিয়েছেন হাসপাতাল চত্বরে। এই পরিস্থিতিতে এই হাসপাতালই এখন আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে।

উদ্বিগ্ন হু তাই অনুরোধ করেছে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির। টেড্রস লিখেছেন, তা না হলে ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে। একই সঙ্গে হু-র আবেদন, যাঁরা এই মুহূর্তে হাসপাতালে পণবন্দি, তাঁরা যেন কোনও ভাবেই ওষুধ, খাবার এবং চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy